রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও বিনম্র শ্রদ্ধায় 'মহান শহীদ দিবস' ও 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০১৯' পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে রোমের কেন্দ্রস্থল ভিত্তরিও পার্কে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরই বাঙালিদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে অনুষ্ঠানে ৩০টির বেশি সংগঠনের সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় 'একুশের কালজয়ী গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' গাওয়ার মধ্যে দিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারির রাত ১০ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। এছাড়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত মর্মস্পর্শী দেশাত্ববোধক গানও পরিবেশন করা হয়। এর পর দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বানীসমূহ পাঠ করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাঙালি জাতির ও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় অনবদ্য অবদানের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ তারিখে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাভাষাকে বিশ্বদরবারে পরিচয় করিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা'। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তায়নের পথে দেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: কানাডায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাইরে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি পালন ও চর্চা করার জন্য উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি