বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ব্যবসায়ীদের দখলে লিটলম্যাগ চত্বর!

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:৩৫

 

বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর কি তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে? বেশির ভাগ লিটল ম্যাগাজিনের স্টলেই তাদের নতুন সংখ্যা বের হয়নি। নীতিমালায় রয়েছে নিজের ম্যাগাজিন ছাড়া অন্য কোন বই তারা বিক্রি করতে পারবেন না। আপনি যদি লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে একবার ঢোকেন দেখবেন সেখানে লিটল ম্যাগাজিনের বদলে নানান প্রকাশনার বই বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে স্থান পাওয়া প্রায় ১৮০টি স্টলের মধ্যে ৯০ শতাংশ স্টলেই বইমেলা উপলক্ষে কোন কাগজ বের হয়নি। কোন কোন স্টলে তো গত কয়েক বছরেই কোন সংখ্যা বের হয়নি। তারা বসে অন্য প্রকাশনীর বই বিক্রি করছেন।

বইমেলায় একুশের সংকলন এনেছে ‘কবিতাচর্চা’, একুশ উপলক্ষে সংখ্যা বের করেছে ‘জলধি’, ‘কাঠপেন্সিল’, ‘শালুক’। নাট্য বিষয়ক খুব সিরিয়াস এক সংখ্যা প্রকাশ করেছে থিয়েটার বিষয়ক ছোটকাগজ ‘ক্ষ্যাপা’। এ পত্রিকার সম্পাদক পাভেল রহমান বললেন, লিটল ম্যাগাজিন চত্বর ছোট ছোট বই ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাচ্ছে। ‘কাঠপেন্সিল’ এর কর্মী আহমেদ ইউসুফ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই চত্বর নিয়ে যাওয়া হলে আরো অনেক পাঠকের নজরে আসত। এখানে আমরা অনেকটাই নিঃসঙ্গ। কবি ওবায়েদ আকাশ বললেন, লটল ম্যাগাজিন চত্বরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেয়া এখন সময়ের দাবি। এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বললেন, সবাই চাইলে আগামী বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই লিটলম্যাগ চত্বর নিয়ে যাওয়া হবে। বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদও একই কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ভয়-ভীতিতেও দমানো যায়নি ছাত্রদের

নতুন বই: অমর একুশে গ্রন্থমেলার গতকাল ছিলো ১৮তম দিন। এদিন মেলায় নতুন বই এসেছে ১৩৯টি। এর মধ্যে গল্প ২৫টি, উপন্যাস ১৯টি, প্রবন্দ্ধ ৫টি, কবিতা ৪৭টি, গবেষণা ২টি, ছড়া ১টি, শিশুসাহিত্য ৫টি, জীবনী ৩টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান ৪টি, ভ্রমণ ১টি, ইতিহাস ৩টি, স্বাস্থ্য ১টি, রম্য ৩টি, ধর্মীয় ২ট, সায়েন্স ফিকশন ১টি এবং অন্যান্য ১৪টি। এরমধ্যে রয়েছে অন্য প্রকাশ থেকে মুনিয়া মাহমুদের গল্পগ্রন্থ ‘বৈশাখী মেঘের কান্না’, বাডস থেকে রাজিয়া মজিদের শিশুতোষ ‘সিন্দাবাদের গল্প’, আহমদ পাবলিশিং হাউজ থেকে ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোশাররফ হোসেনের আত্মজীবনী ‘জীবনের খণ্ড চিত্র’।

ইত্তেফাক/আরকেজি