শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জেনেভা ক্যাম্পের বিহারীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:২৮

রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরত বিহারীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাদের উন্নতমানের আবাসন দেওয়ার লক্ষ্যে ফ্ল্যাটসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ৫টি ২০তলা ভবন নির্মাণ করে ১৫২টি পরিবারকে দীর্ঘ মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে ফ্ল্যাট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সকলকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করেছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
 
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ভারত থেকে লাখ লাখ মুসলমান তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাত্ বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরের সরকারি খাস জমিতে বসবাস শুরু করে। ১৯৫৮ সালে তত্কালীন সরকারের অধীনে ‘হাউজিং উইং’ প্রতিষ্ঠা করে বিহারীদের পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে সারা দেশব্যাপী ১১৬টি বিহারী ক্যাম্পের মধ্যে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প সবচেয়ে বড়। এই ক্যম্প এলাকায় সাড়ে ১৪ একর জমির উপর প্রায় ৮ হাজার ৮শ’ পরিবারের ৩৫ হাজার মানুষ বাস করছে। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্যাম্পের অধিবাসীরা। প্রতিটি পরিবার মাত্র চার বর্গমিটারের একটি কক্ষে থাকা এবং খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক পারিবারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরত বিহারীদের জীবনযাত্রাকে সহজতর করতে তাদের পুনর্বাসন এবং জেনেভা ক্যাম্পের জায়গার সুষ্ঠু ব্যহার নিশ্চিত করতে জমি অধিগ্রহণ করে ফ্ল্যাটসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে মোহাম্মদপুরস্থ বসিলায়   ৬৮ একর জমির উপর ৫৮টি ১৪ তলা ভবনে ৬ হাজার ৩২টি ফ্ল্যাট তৈরির লক্ষ্য থাকলেও এটি পরবর্তীতে পাইলট আকারে বাস্তবায়নকরার বিষয়ে সুপারিশ করে পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, বিহারীদের জেনেভা ক্যাম্প থেকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে তাদের সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন। তাছাড়া প্রাথমিকভাবে বিহারীদের পুনর্বাসনের জন্য সীমিত আকারে প্রকল্পটি বাস্তাবয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। জেনেভা ক্যাম্প বা অন্যান্য স্থানে বিহারীদের অবস্থানের বিষয়ে আইনগত ভিত্তি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার বাধা রয়েছে কি না সেগুলোও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পুনর্বাসনের বিষয়ে বিহারী সম্প্রদায় এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার সাথে সমঝোতাও হওয়া প্রয়োজন যেটি স্মারক আকারে স্বাক্ষরিত হবে।
 
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছর থেকেই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার লক্ষ্য রয়েছে।

ইত্তেফাক/অারকেজি