কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের প্রতি সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০ টায় মিজারুল কায়েসের মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হয়। সেখানে তার পরিবার পরিজনও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রবিবার দিবাগত রাত ১২টায় মিজারুল কায়েসের মৃতদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। সোমবার শহীদ মিনারে নেওয়ার আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিজারুল কায়েসের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের পরিচালনায় কায়েসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, পথ নাট্য পরিষদ, বাংলা একাডেমি, জাসদ, বিসিএস ৮২ ফোরাম ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সরকারি বেসরকারি সংগঠন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরোফিন সিদ্দিকী বলেন, মিজারুল কায়েসের রেখে যাওয়া আদর্শ মেনে চলতে হবে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যে সাহস দেখিয়ছেন তা অনুকরণীয়। সাবেক রাষ্ট্রদূত আনারুল আলম বলেন, তার মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে এটা ভাবিনি। এমন আর্দশবান মানুষ আমি কম দেখেছি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ স্থানীয় ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মিজারুল কায়েস মারা যান। সেখানে ১৫ মার্চ তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জানাজায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, সাবেক ও বর্তমান সচিব, রাষ্ট্রদূতরা ছাড়াও তার সহকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন।
১৯৮২ ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস পররাষ্ট্রসচিব ছাড়াও যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও মালদ্বীপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জেনেভা, টোকিও এবং সিঙ্গাপুরেও বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।