মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মেয়রকে সময় দিয়ে আন্দোলন স্থগিত

আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৯, ১৮:৩৬

দাবি মেনে নেওয়ার জন্য মেয়রকে সাত দিন সময় দিয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে  বৈঠক করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈঠক শেষে বিকেলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ফয়সাল এনায়েত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা আজ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত সব ধরনের আন্দোলন স্থগিত করছি। সময় সাপেক্ষে মেয়র সাহেব আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। তবে ২৮ মার্চ বেলা ১১টায় আবার মেয়রের কার্যালয়ে বৈঠকে বসব আমরা। সেখানে দাবি পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। অগ্রগতি দেখ যদি আমরা সন্তুষ্ট না হই, তাহলে আবার বিক্ষোভ শুরু হবে। সারা দেশের সকল শিক্ষার্থী তাতে অংশ নেবে।

বাসের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ। ছবি: ফোকাস বাংলা

বিইউপির শিক্ষার্থী তৌহিদুজ্জামান বলেন, সড়ক নিরাপত্তার জন্য যেখানে যা দরকার তার জন্য আগামী সাতদিনের মধ্যে একটা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন মেয়র। এজন্য আমরা পরবর্তী সাতদিন সময় দিচ্ছি।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যে চালক সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন, তার হালকা যান চলানোর লাইসেন্স ছিল। কিন্তু ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। অথচ তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন। এটা কীভাবে সম্ভব!

আরো পড়ুন: ‘এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ বক্তব্য’

মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে বাসচাপা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আবরার জেব্রা ক্রসিংয়ে দিয়ে রাস্তা পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন। এসময় অন্য একটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি আবরারকে ধাক্কা দেয়। এরপর ওই বাসের নিচে চাপা পড়েন তিনি।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে বিক্ষোভ। ছবি: ফোকাস বাংলা

এদিকে ঘাতক বাসের চালক সিরাজুল ইসলামকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া আবরারের পরিবারকে জরুরি খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুপ্রভাত পরিবহন কর্তৃপক্ষকে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ