বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা: আপিল শুনানি পিছিয়েছে

আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:১৪

গাজীপুরের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে দুই পক্ষের করা আপিলের শুনানি ৮ সপ্তাহ পিছিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতেৃত্বে আপিল বিভাগ সোমবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে বাদীপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট। এর আগে একই বছরের ১৫ জুন এই মামলায় বিএনপি নেতা নুুরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ পাওয়া চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় গাজীপুর সদর-টঙ্গি এলাকার তৎকালীন সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। এছাড়াও সেদিন নিহত হন ওমর ফারুক রতন নামের আরেক ব্যক্তি। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় দেয় ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত। ২০০৫ সালে নিম্ন আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল হাইকোর্টে যায়। একই সঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করে।

আরও পড়ুনঃ শপথ নিলেন মন্ত্রিপরিষদের ৪৭ সদস্য

মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও শ্রমিকনেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ১৯৯০ সালে গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাসস

ইত্তেফাক/কেকে