এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের শুনানি শিগগিরই হবে।’
এটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ রবিবার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে যে স্বীকৃতি ছিল সেটা বাতিল হয়ে গেছে হাইকোর্ট রায়ে। এ ব্যাপারে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন। কাজেই প্রধানমন্ত্রী সঠিক বলেছেন, বিচারাধীন মামলার ব্যাপারে তো কোনো নির্বাহী আদেশ দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করব, এটা তাড়াতাড়ি শুনানি করার জন্য।’
জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এটাতো আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল বলেই দিয়েছেন। তারা ক্ষমা চান বা না চান, তাতে কিছু আসে যায় না। যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত থাকবে, ভবিষ্যতেও চলবে। আর এই মুহূর্তে তারা তো মাফ না চাইলে অবস্থা দিনের পর দিন আরও খারাপ হবে। এটা হয়তো তারা বুঝতে পেরেছেন।’
আরও পড়ুন: যমজ শিশুর বাবা হলেন দুইজন!
জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে এটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যে কোনো রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার প্রধান উদ্দেশ্য কী? ক্ষমতায় যাওয়া। ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। যদি তার (রাজনৈতিক দলের) লাইসেন্সই না থাকে, তাহলে তিনি কীভাবে নির্বাচন করবেন? আর যারা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া রাজনীতি করতে চায়, সেগুলোতো আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি। সেসব রাজনীতিতো আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ একসেপ্ট করে না। তাদের সেভাবে সুযোগ-সুবিধা দিতে রাষ্ট্রেরও বাধ্যবাধকতা নেই। কাজেই বাস্তবতা হলো, রাজনীতি করতে হলে ইলেকশন কমিশন থেকে একটি অনুমতি থাকতে হবে, লাইসেন্স থাকতে হবে। সেই লাইসেন্সটাই বাতিলের জন্য মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আমরা আশা করি, শিগগিরই এটার শুনানির ব্যবস্থা নিতে পারবো।’ নিবন্ধন যদি বাতিল হয়ে যায় আপনা-আপনি দল বাতিল হয়ে যাবে, তারা রাজনীতি আর করতে পারবে না- বলে জানান মাহবুবে আলম। বাসস
ইত্তেফাক/কেকে