শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ক্ষমাহীন নৃশংসতা : পাকিস্তানিদের চোখে, ফুয়াদ চৌধুরীর ক্যামেরায়

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:২১

ফুয়াদ চৌধুরীর ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা : পাকিস্তানিদের চোখে বাংলাদেশে গণহত্যা’ ১৯৭১-এর না বলা গল্প। এ গল্প অনন্যসাধারণ এজন্যে, এখানে পরিচালক পাকিস্তানিদের চোখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের নির্মম বর্বরতার চিত্র নতুন আঙ্গিকে তুলে এনেছেন। এক ঘণ্টার এই প্রামাণ্যচিত্রে চারজন পাকিস্তানি নাগরিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। 

সাক্ষাৎকার দেওয়া চার পাকিস্তানী হলেন, রওশন জামিল, ১৯৭১ সালে যিনি যশোরের পাক প্রশাসক ছিলেন এবং পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সচিব হিসেবে অবসর নেন। তারেক খান, যুদ্ধকালের সাংবাদিক, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ কার্গোতে তিনি দেশ ছাড়েন। মোয়াজ্জেম খান, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার সন্তান, ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন একজন স্কুলছাত্র এবং তারা ছিলেন জেনারেল নিয়াজীর প্রতিবেশী। তারেক ফতেহ, লেখক ও কলামিস্ট। 

প্রামাণ্যচিত্রে চারজনই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতার কথা স্বীকার করে এর বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন।

ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছবিতে চারজন পাকিস্তানি নাগরিক মুক্তিযুদ্ধে তাদের বাহিনীর পাশবিক নৃশংসতার বর্ণনা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে এ তথ্যচিত্র বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলো থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এটি প্রদর্শন করার জন্যে; দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ছবিটি দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমার।’

ফুয়াদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে টেলিভিশনের ওপর উচ্চতর পড়াশোনা করেছেন। তিনি কানাডার টরন্টোতে টেলিভিশন ও ফিল্ম বিষয়ে পড়িয়েছেনও। চার বছর নিরলস পরিশ্রমের পর তিনি ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’ তৈরি করেছেন। সাবিনা বারী লাকি ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন।

আরও পড়ুনঃ নারী-পুরুষ একসঙ্গে খাওয়া নাজায়েজ, দেওবন্দের ফতোয়া

১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র-এর সম্মেলন কক্ষে ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা : পাকিস্তানিদের চোখে বাংলাদেশে গণহত্যা’ প্রদর্শিত হয়। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরীর সন্তান আসিফ মুনির, শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দীন হোসেনের সন্তান তৌহিদ রেজা নূর প্রমুখ।

ইত্তেফাক/নূহু