শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যুক্তরাষ্ট্রের মেট্রোপলিটন যাদুঘরে রশীদ চৌধুরীর ট্যাপেস্ট্রি শিল্প

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শিল্প যাদুঘর মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট (দ্য মেট) এ স্থান পেল দেশের চিত্রকলার বিশিষ্ট শিল্পী প্রয়াত রশীদ চৌধুরীর চিত্রকর্ম। রশিদ চৌধুরীর ট্যাপেস্ট্রি শিল্প প্রথম কোন বাংলাদেশীর শিল্পকর্ম হিসেবে যাদুঘরটিতে ‘ফিচার’ করা হয়েছে।

সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রশীদ চৌধুরীর ট্যাপেস্ট্রি শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের মেট্রোপলিটন যাদুঘরে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।

সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাদিয়া সামদানি এক গণমাধ্যমকে জানান, গত বছর ঢাকা আর্ট সামিটে ‘দ্য মেট’ থেকে একটি টিম এসেছিল, তারা ট্যাপেস্ট্রি শিল্প দেখেছে। এতে তারা অনেক অভিভূত হয় এবং তারা তাদের সংগ্রহে তা রাখতে চান।

উল্লেখ্য, ছোটবেলা থেকেই শিল্পী হবার বাসনা ছিল রশীদ চৌধুরীর মনে। প্রাথমিক শিক্ষাজীবনের শুরু গ্রামের পাঠশালায়। বাড়িতে একজন মাস্টারও ছিলেন। তিনি ছেলেদের দেখাশোনা করতেন। এরপর যাঁরা গৃহশিক্ষক হয়ে এসেছিলেন তাঁরা সবাই ছিলেন মৌলবি। তাঁরা একসঙ্গে লেখাপড়া, আদবকায়দা ও ধর্মশিক্ষা দিতেন। স্থানীয় রজনীকান্ত হাই স্কুল, আলীমুজ্জামান হাই স্কুল ও কলকাতার পার্ক সার্কাস হাই স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ১৯৪৯ সালে প্রবেশিকা বা ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন তিনি। প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, তিনি তৃতীয় বিভাগ পেয়েছেন। এসময় কলকাতা থেকে তাঁদের বাড়িতে এলেন এনামুল হক চৌধুরী। তাঁদের হেনা কাকা, যাঁর সঙ্গে শিল্পী জয়নুল আবেদিন ও কামরুল হাসানের পরিচয় ছিল। একদিন তাঁর চোখে পড়ল, বাড়ির বাইরে বসে কনক মানে রশীদ চৌধুরী একটা গরুর গাড়ির ছবি আঁকায় মগ্ন। দেখে তিনি খুশি হয়ে তাঁকে ছবি আঁকা শেখার পরামর্শ দিলেন এবং ঢাকা আর্ট স্কুলে গিয়ে ভর্তি হতে বললেন। পিতা রাজনীতি করলেও সাহিত্য ও সংগীতানুরাগী ছিলেন। তিনি তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।

আরো পড়ুন: ঝিমিয়ে পড়েছে সংস্কৃতি অঙ্গন 

ঢাকায় এসে তিনি ভর্তি পরীক্ষা দেন ঢাকার তত্কালীন সরকারি আর্ট কলেজে। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে ছয় মাসের মধ্যে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার শর্তে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৪৯ সালে তাঁকে আর্ট কলেজে ভর্তি করান। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে দেওয়া কথা তিনি রেখেছিলেন। আর তাই তো ৫ বছরের সার্টিফিকেট কোর্স শেষ করে রশীদ চৌধুরী ১৯৫৪ সালে আর্ট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগ লাভ করেন। 

ইত্তেফাক/এসআর