শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এলএনজি সরবরাহ বন্ধের জন্য ক্ষতিপূরণ চাইবে পেট্রোবাংলা

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:২৩

সমুদ্রে তলদেশে স্থাপিত পাইপ লাইনের মাঝখানে হাইড্রোলিক ভাল্বে সৃষ্ট ত্রুটির কারণে গত ৩ নভেম্বর থেকে ১১ দিন চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ ছিল। এসময়ের এলএনজি’র ক্ষতিপূরণ দাবি করবে পেট্রোবাংলা।

ত্রুটি মেরামতের পর এলএনজি স্বল্পতায় বর্তমানে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটের পরিবর্তে ২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। এর ফলে গ্যাস সংকটে সিইউএফএল চালু করা যাচ্ছে না। আগামী ২১/২২ নভেম্বর ১ লাখ ৪০ হাজার ঘনমিটার এলএনজি নিয়ে নতুন জাহাজ আসবে। এরপর সরবরাহ বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জানা যায়, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ১ লাখ ৩৩ হাজার ঘনমিটার এলএনজি নিয়ে প্রথম জাহাজ মহেশখালীতে সমুদ্রে এসে নোঙর করে। এই সরবরাহ শেষ হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত কয়েকদিন থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

হঠাৎ করে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুরো দেশ গ্যাস সংকটের কবলে পড়ে। গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার কারখানায় উত্পাদন বন্ধ রাখতে হয়। পাইপ লাইনে চাপ কমে যাওয়ায় শিল্প-কারখানায় উত্পাদন ব্যাহত হয়। আবাসিক গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কর্ণফুলি গ্যাস কোম্পানী সূত্র জানায়, এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় সিইউএফএল সার কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। তবে চট্টগ্রামে উত্পাদন বন্ধ রাখা তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, এলএনজি সরবরাহে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির সাথে এলএনজি সরবরাহ নিয়ে চুক্তি রয়েছে। চুক্তিতে কারিগরি বা কোম্পানির কোনো কারণে সরবরাহ বিঘ্নিত হলে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। যাতে তাদের ইচ্ছাকৃত গাফিলতিতে সরবরাহে কোনো সমস্যা না হয়। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, এলএনজি সরবরাহের শুরুতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল। সম্প্রতি পাইপ লাইনের ভাল্বে ত্রুটির কারণে ১১ দিন সরবরাহ বন্ধ থাকে। এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে।

সিইউএফএল সূত্র জানায়, তাদের দৈনিক প্রায় ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এখন ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। তা দিয়ে উত্পাদনে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নতুন জাহাজ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

ইত্তেফাক/আরকেজি