বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রাইড শেয়ারিং

আপডেট : ০৭ মার্চ ২০১৯, ০৪:৪৭

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে সব ধরনের রাইড শেয়ারিং কার্যক্রম। এমন তথ্য জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে লিখিতভাবে মন্ত্রী সংসদকে জানান, রাইড শেয়ারিং নীতিমালা জারি করলেও উক্ত নীতিমালাটি বাস্তবায়নের সাথে বাংলাদেশ পুলিশ, নির্বাচন কমিশন এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্ট বিধায় এই মুহূর্তে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে এতথ্য জানার সেতুমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর সাধারণত লিখিতভাবে উপস্থাপন করা হয়। এসকল প্রশ্নের উত্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা আগেই দিয়ে থাকেন এবং পরবর্তীতে তা ছাপানো হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওবায়দুল কাদেরকে চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে বিধায় তার অনুপস্থিতে মন্ত্রীর লিখিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী জানতে চান, ‘এটা সত্য কিনা যে, অ্যাপস ভিত্তিক পরিবহন সেবায় শর্ত মানছে তা কেউ। উবারসহ ১০ প্রতিষ্ঠান চলছে নিবন্ন ছাড়াই। বিষয়টি সত্য হলে সরকার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কি না।’

লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। গেজেটটি প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল হতে এ পর্যন্ত মোট ১৬টি রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছে। নীতিমালার কিছু শর্ত প্রতিপালিত না হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত আবেদনকৃত রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট ইস্যু করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে বিআরটিএ কর্তৃক নীতিমালায় শর্ত পূরণ করার জন্য এ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানসমূহে নির্দেশনা দেওযা হয়েছে। নীতিমালাটি বাস্তবায়নের সাথুে বাংলাদেশ পুলিশ, নির্বাচন কমিশন এবং বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট বিধায় এই মুহূতে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে দেশে রাইড শেয়ারিং কার্যক্রম শুরু হয়। দেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু হওয়ার সময় কোনো প্রকার নীতিমালা ছিল না। তবুও, রাস্তার যানজট ও গণপরিবহনগুলোর নৈরাজ্যের কারণে রাজধানীতে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং এ সেবাটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

আরও পড়ুন: ব্যবসা না থাকায় মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ করল দুই ব্যাংক

বিভিন্ন মহলের আলোচনা- সমালোচনার পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রাইড শেয়ারিং নীতিমালা সরকার অনুমোদন করে। এতে রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নামে বিআরটি থেকে ‘এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ এবং মোটরযানের মালিকের নামে ‘রাইড শেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

ইত্তেফাক/আরকেজি