শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারতে পোশাক রফতানি বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৩

প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের পোশাকসহ বেশিরভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পোশাক খাতও মান ও কর্মপরিবেশ বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা মূল্যে ভারতে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারকরা।

গত শুক্রবার ভারতের বেঙ্গালুরুতে দুই দিনের প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এমন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ভারত ইতোমধ্যে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের রপ্তানির ৮৪ শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে। ভারতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির আকার ক্রমেই বড় হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ ভারতে প্রতিযোগিতামূলক দরে পোশাক রপ্তানি করতে পারে।

প্রতিযোগী দেশ হিসেবে পরস্পরের শক্তি বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে ভারত বাংলাদেশের পোশাকসহ বেশিরভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। এর ফলে সেখানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়ছে।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রথমার্ধে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। অবশ্য উভয় দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির চাইতে আমদানি অনেকগুণ বেশি।

আরো পড়ুন: আমদানি নয়, দেশেই গাড়ি তৈরি হবে: শিল্পমন্ত্রী

ভারত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও উভয় দেশের বাণিজ্য এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি বলে মনে করেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির। মেলার প্রথমদিন একটি সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার জন্য পোশাক ও বস্ত্রখাত খুবই সম্ভাবনাময়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্ণাটক সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মুখ্য সচিব গৌরব গুপ্তও উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরেন। ‘অ্যাপারেল সোর্সিং উইক’ নামের ওই মেলায় বাংলাদেশের ২৩টি পোশাক ও বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

ইত্তেফাক/এমআর