শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফুলের রপ্তানি বাড়াতে সরকারের নীতি সহায়তা চান উদ্যোক্তারা

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:১৩

দেশে দিনে দিনে ফুলের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে অভ্যন্তরীণভাবে ফুলের বাজার বড় হয়ে এখন প্রায় ১২শ’ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। তৈরি হয়েছে রপ্তানির সম্ভাবনাও। তবে ফুল চাষ ও বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষক ও উদ্যোক্তারা নানামুখী সমস্যায় রয়েছে। এ খাতে টেকসই কৃষক ও উদ্যোক্তাশ্রেণি তৈরি করতে সরকারের নীতি সহায়তা চান তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের আন্তর্জাতিক ফুল প্রদর্শনী ও সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, ফুলের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সহায়ক নীতিমালা আবশ্যক। সম্ভাবনাময় এ শিল্পের সাথে জড়িত কৃষক ও উদ্যোক্তাদের স্বল্প হারে ঋণ সুবিধা প্রদান, আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ প্রদান, উন্নত ও নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ করা, ওয়্যারহাউজ ও কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় হিমাগারের অভাবে দেশে কৃষি খাতে উত্পাদিত নানাবিধ পণ্যের যোগ্য মূল্য থেকে উদ্যোক্তা ও কৃষক বঞ্চিত হচ্ছেন। ফুল খাতের বিকাশে হিমাগার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়্যারহাউজ বা গুদাম নির্মাণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী এম আমিনুল ইসলাম ফুল রপ্তানির জন্য প্যাকেজিং ব্যবস্থার উন্নয়ন, হিমাগার স্থাপন, ফুলের নতুন নতুন জাত উত্পাদনের উপর গুরুত্ব দিতে এখাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। ফুল খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপন এবং গবেষণা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ইউএসএইড’র কনসালটেন্ট এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক এ শিল্পের বিকাশে সহায়ক নীতিমালা, গবেষণা পরিচালনা, দক্ষ জনবল তৈরি এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব দেন।

ইত্তেফাক/আরকেজি