বর্তমানে ৩৮ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছেন। আর এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪২ শতাংশ নারী। এই সংখ্যাকে ৫০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তবে শুধু উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণই নয়, এর মানোন্নয়নেও বদ্ধপরিকর সরকার। বর্তমান সরকারের সময়েই উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে একটি পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যা সফলভাবে সমাপ্তির পথে রয়েছে। খুব শীঘ্রই উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আরও বৃহত্ প্রকল্প আসছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্প-হেকেপ আয়োজিত জাতীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যানহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ) এর ১০ বছরের অর্জন নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর ঘাটতির কারণে নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প নামে উচ্চশিক্ষা খাতে প্রথম প্রকল্প গ্রহণ করে।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ইউসুফ আলী মোল্লা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ-উল হক ও বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ড. মোখলেসুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প-হেকেপের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত।
হেকেপ প্রকল্পের মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার রোগ নির্ণয়, স্বল্পমূল্যে গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগের টিকা উদ্ভাবন, পাটকাঠি ব্যবহার করে কাঠের বিকল্প প্লাইউড উদ্ভাবনসহ নানা আবিষ্কার সাড়া ফেলেছে। এরই মধ্যে বেশকিছু উদ্ভাবনের জন্য দেশে বিদেশে প্যাটেন্ট আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/আরকেজি