শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:০৩

অবৈধভাবে প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।

সিআইডি দাবি করছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত দুটি বড় চক্রকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।  এই চক্রের সদস্যদের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আছেন। 

মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, এই চক্রের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরকম শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম তদন্তে উঠে এসেছে।

সিআইডি বলছে, ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় দুইভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে। আর অন্য চক্রটি পরীক্ষার দিন প্রশ্ন সংগ্রহ করে সমাধান বের করে। এর পর সেটা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে।

আরো পড়ুন: শুক্র-শনিবার ছাড়া ঢাকায় র‌্যালি নয়: কাদের

মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, সিআইডি প্রশ্নফাঁস চক্রটিকে আগেই শনাক্ত করেছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে। এবার তারা ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াতি চক্রটিকেও গ্রেফতার করেছে।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক দিন অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল জালিয়াত চক্রের মূল হোতা বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাসসহ ৩৮তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহীম মোল্লা, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, আইয়ুব আলী বাঁধনকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রটি বিসিএস পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছিল।

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত সপ্তাহে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা হলেন- জনতা ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোহায়মিনুল ইসলাম, তৃতীয় বর্ষের সাঈদুর রহমান ও দ্বিতীয় বর্ষের আব্দুর রহমান রমিজ।

ইত্তেফাক/জেডএইচ