শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কোন্দলে সভাপতি-সম্পাদক অবরুদ্ধ

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:২৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের কোন্দলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অবকাশ ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এদিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের নির্দেশে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার কথা বললেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তা অস্বীকার করেছে।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছি। কিন্তু কোন ধরণের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাইনি।

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী বলেন, যেহেতু কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে এমতাবস্থায় তাদেরকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

আরো পড়ুন: প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে পাট: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

জানা যায়, গত ৩ মার্চ শাখা ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মহড়া এবং ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল তাদের অনুসারীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এসময় তারা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে মহড়া দিয়ে অবকাশ ভবনের ছাত্রসংসদ কক্ষে প্রবেশ করে। পরে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল ও শোডাউন দিয়ে অবকাশ ভবনে তালা ঝুলিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে প্রায় একঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তারা স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছি। কিন্তু কোন ধরণের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাইনি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড.নূর মোহাম্মদ বলেন, ছাত্রলীগের দুপক্ষের উত্তেজনায় বিশ্ববিদ্যালয় অবকাশ ভবনে তালা লাগানো হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তালা ভেঙে অবকাশ ভবন উন্মুক্ত করে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ