বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শুধু ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৮:৩৮

‘দেশকে শুধু ভৌত অবকাঠামো দিয়ে উন্নত করলে হবে না। যদি দেশকে অভকাঠামোর দিক দিয়ে উন্নত করা হয় তাহলে পশ্চিমা দেশের মতো মানবতা হারিয়ে যাবে। এজন্য উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠন করতে হবে। এই উন্নয়ন ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না। এজন্য মেধা বিকাশের সঙ্গে দেশাত্ববোধ, মমত্ববোধ ও মূল্যবোধের সমন্বয় প্রয়োজন।’ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশ হয় গবেষণা ও প্রকাশনার ওপর। গবেষণার ক্ষেত্রে রসায়ন বিভাগের আরো বেশি জোর দেওয়া দরকার। গবেষণাখাতে সরকারের কাছে বেশি ফাণ্ড চাওয়া উচিত। গবেষণা ছাড়া রেটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যেতে পারবে না ‘

এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নেতৃত্ব  বিকাশের জন্য ছাত্র সংসদের বিকল্প নাই। নেতৃত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমি আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতি শিগগির চাকসু নির্বাচন দিবেন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি একটি বড় ইতিবাচক দিক। তবে এখানে যে সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বীকার করছে এবং সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তার পরেও এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ স্বীকার করুক আর না করুক বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত সূচকে পাকিস্থানকে পিছনে ফেলে বহুদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশে রাপ্তানি আয় ৪০ মিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের সেখানে ২৪ মিলিয়ন  ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৮শত ডলার সেখানে পাকিস্থানের ১৬শত ৪০ ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২.৮ বছর পাকিস্থানের ৬৮ বছর। আমরা সব দিক দিয়ে পাকিস্থানের চেয়ে উন্নত।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি রোমন্থন করে এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এখানে অনেক সময় কাটিয়েছি। এখানে আসতে পারাটা আমার কাছে অনেক আনন্দের। আমাদের সময় সেশনজট ছিল, কিন্তু এখন তা নেই। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রকৃতিকে রক্ষা করে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক জরিপে প্রথমস্থান দখল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে সৎ, দক্ষ, যোগ্য, আলোকিত ও আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানবসম্পদ উৎপাদনে বর্তমান সরকার শিক্ষার সঙ্গে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে যুক্ত করে একটি যুগোপযোগী জাতীয় শিক্ষানীতি দেশ-জাতিকে উপহার দিয়েছে। এরই আলোকে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-গবেষণায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশ-জাতির উন্নয়নে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখবে এটাই প্রত্যাশিত।’ এছাড়াও  এ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতিতে দৃশ্যমান অবদান রাখার আহবান জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ তজুমদ্দিনে স্ত্রীর শরীরে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন

রসায়ন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মনির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম। এর আগে সকাল ১০টায় বিজ্ঞান অনুষদ ভবন থেকে একটি র‌্যালি বের হয়।

ইত্তেফাক/নূহু