বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অসামাজিক কাজে বাধা দেওয়ায় প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৫৮

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজী কালুর টিলায় অসামাজিক কাজে বাধা দেওয়ায় প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অসিফ হোসেন রনির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন মারধরের শিকার প্রহরী লিটন দেব।

এ ঘটনার তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মো. সামিউল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে আগামী ৯ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তাদের তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে লিটন দেব জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দায়িত্বরত অবস্থায় এক ছেলে এক মেয়েকে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে দেখি। এ সময় তাদের পরিচয় জানতে চাইলে প্রথমে তারা সাস্টিয়ান পরিচয় দিলেও পরে তারা ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে পরিচয় দেয়। মিথ্যা বলায় তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে নিয়ে যেতে চাইলে তারা রনি নামের এক ছেলের সাথে মোবাইল ফোনে আমাকে ধরিয়ে দেয়। এ সময় রনি আমাকে ফোনে হুমকি দিয়ে তাদের ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু তাদের ছেড়ে না দিয়ে প্রক্টরের কাছে নিয়ে যেতে চাইলে রনি আরও দুইজন ছেলে নিয়ে এসে আমাকে চড়থাপ্পড় মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের অটোরিকশা দিয়ে বের করে দেয়। আর এ বিষয় প্রক্টরকে জানালে আমার চাকরি থাকবেনা বলে হুমকি দেয় সে। এ সময় আমার অবস্থা বেগতিক দেখে প্রক্টর স্যার তার অফিসের সহকারী সোহেলকে দিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।

আরো পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্স আটকে নিহত শিশুর লাশ উত্তোলন

অভিযুক্ত আসিফ হোসেন রনি বলেন, ‘গার্ডের বিরুদ্ধে আগে থেকে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে। গার্ড মেয়েটির সাথে বাজে ব্যবহার করলে আমি তাকে চড় মারি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে প্রধান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী ৯ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’

ইত্তেফাক/বিএএফ