বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন স্বপ্ন

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৪৩

ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তুলেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। যার শিক্ষা কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। চলছে ভর্তি কার্যক্রম, নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোয়ালিটি এডুকেশনের সঙ্গে উন্নত ভৌত অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করতেই গড়ে তোলা হয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। শুধু তাই নয়, জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের অধিক যোগ্য করে তুলতে শিক্ষা সংক্রান্ত সব উপকরণই এখানে আছে। নতুন ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝেও বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্র ইফতেখার মাহমুদ বলেন, মনোরম পরিবেশে নতুন ক্যাম্পাস, উচ্ছ্বাস তো থাকবেই। তার ভাষ্য, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো ঢাকার যানজট ছেড়ে মুক্ত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পাওয়া। সে ক্ষেত্রে সুবিশাল খেলার মাঠ, ইনডোর গেমস ও যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসও বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। এখানে উল্লেখ্য যে, কুড়িল বিশ্বরোড, সোনারগাঁও, ভূলতা ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ইতোমধ্যেই কয়েকটি বাস চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনের আলোকে আরো অধিক সংখ্যক বাসের ব্যবস্থা করা হবে।

আরো পড়ুন: সমতায় ফিরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

গ্রিন ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু ২০০৩ সালে। তবে ২০১১ সালে ইউএস-বাংলা গ্রুপ দায়িত্ব নেয়ার পর বৃহৎ আকারে এর পরিবর্তন আসে। পরিকল্পনা হয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়নের। সংশ্লিষ্টদের দাবি, এক যুগের বেশি সময় আগে স্বল্প পরিসরে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা হয়েছিল, কালক্রমে তা এখন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে চারটি অনুষদ ও ৮টি বিভাগ রয়েছে। পরিচালিত হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায় শিক্ষা, আইন, ইংরেজি ও সমাজবিজ্ঞানসহ উচ্চতর শিক্ষাবিষয়ক ১৫টি কোর্স। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৮৩জন শিক্ষক পাঠদান করছেন। যেখানে অধ্যাপক ১২জন, সহযোগী অধ্যাপক ৯জন, সহকারী অধ্যাপক ২৭জন এবং ১১৩জন লেকচারারসহ বেশ কিছু খ-কালীন শিক্ষক রয়েছেন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একজন শিক্ষকের বিপরীতে মাত্র ২৪জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন। যে সূচক দেশের অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এগিয়ে। রয়েছে সুবিশাল গ্রন্থাগার।

ইত্তেফাক/জেডএইচ