শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানের ৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:০৭

‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন’-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড’-এর পরিচালক এবং মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানের ৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ রবিবার এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড’-এর পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শাহেদের বিরুদ্ধে পারস্পারিক যোগসাজশে এ কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব হতে পরিমাণ অর্থ উত্তোলনপূর্বক তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ‘পিরামিড এক্সিম লিমিটেড’ এবং ‘গুডউইন’ নামক কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে অবৈধভাবে অর্থ জমা করার অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) এমন অভিযোগ আসলে দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে গত ২৮ জানুয়ারি কমিশনের উপ-পরিচালক এসএম সাহিদুর রহমান এবং মোহাম্মাদ মাহমুদুর রহমানের সমন্বিত এনফোর্সমেন্ট টিম যথাক্রমে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড ও এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড-এ অভিযান চালিয়ে হিসাবের অনুসন্ধান করে।

দুদক টিম কোম্পানির পরিচালক ও তার স্ত্রীর পিরামিড এক্সিম লিমিটেড কোম্পানির নামে গত তিন বছরে বিভিন্ন ব্যাংকে সর্বমোট ৪৩ কোটি টাকার বেশি এবং মহাব্যবন্থাপক মোহাম্মদ শাহেদের ব্যক্তিমালিকানাধীন গুডউইন কোম্পানির নামে গত তিন বছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা জমা এবং উত্তোলনের প্রাথমিক প্রমাণ পায়।

আরও পড়ুন: যমজ শিশুর বাবা হলেন দুইজন!

এ ঘটনা উদঘাটনের পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে।

দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ কোনোভাবেই ব্যক্তিগত হিসেবে স্থানান্তরের সুযোগ নেই। এ দুর্নীতির অনুসন্ধান শেষে শিগগিরই দুদক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পুরো অনুসন্ধান প্রক্রিয়া কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বাসস

ইত্তেফাক/কেকে