শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রার্থীরা

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৪

গোটা দেশজুড়ে নির্বাচনী ঊত্তাপ। শুরু হয়েছে ভোটের দিন উপলক্ষে ক্ষণগণনা। গতকাল সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। শুরু করেছেন শো-ডাউন। সদলবলে ছুটছেন দ্বারে দ্বারে। কোলাকুলি-কুশল বিনিময় করছেন। খোজ-খবর নিচ্ছেন। কাতর ভাষায় ভোট চাচ্ছেন। দশ বছর পর সব দলের অংশ গ্রহনে হতে যাচ্ছে নির্বাচন।

এদিকে আওয়ামীলীগ ও ঐক্যফ্রন্ট সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারনার নির্ঘন্ট চূড়ান্ত করেছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। আগামীকাল বুধবার সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে রওনা হয়ে সড়ক পথে মুন্সিগঞ্জ হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার যাবেন। দুপুর ১২টায় তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাবেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর দুপুর আড়াইটায় প্রধানমন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুত্ফর রহমান সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। ওইদিন রাতে শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ফিরবেন মানিকগঞ্জ হয়ে। টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জে জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী নির্বাচনী সফর শুরু হবে সিলেট। সেখানে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.)’র মাজার জিয়ারত শেষে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। উত্তরবঙ্গে চার জেলা-বিভাগীয় শহর সফর করবেন শেখ হাসিনা। সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও দিনাজপুরে হবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলায় নির্বাচনী সফর করবেন শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার গোপালগঞ্জ-৩ ছাড়াও শ্বশুরবাড়ি রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি রংপুরের আসনটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ছেড়ে দেন।

অপরদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এবার ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। বুধবার সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে বরাবরের মতো এবারও ভোটের প্রচার শুরু করবেন ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীরা। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের শীর্ষ নেতারা ওইদিন সিলেটে যাবেন। সেখানে হজরত শাহজালাল (রহ.), হজরত শাহপরাণ (রহ.) ও মুক্তি বাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর মাজার জিয়ারত শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারে অংশ নেবেন তারা।সেখানে তারা রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন ঢাকা ফিরবেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ড. কামাল হোসেন হয়তো সিলেটের পর ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না। তবে তিনি ঢাকা মহানগরীর নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে অংশ নেবেন। তবে সারা দেশে প্রচারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিএনপি, ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা থাকবেন। সূত্র জানায়, সিলেটসহ সারা দেশে প্রচারের জন্য ইতিমধ্যে সম্ভাব্য তারিখসহ একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এ নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তবে দুই জোটের শীর্ষ নেতাদের প্রচারে অংশ নেয়ার বিষয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুটি করে আসনে নির্বাচন করছেন। তাই তারা সারা দেশের অনেক জায়গায়ই প্রচারে যেতে পারবেন না। কারণ তারা তাদের নির্বাচনী এলাকায়ও সময় দিতে চান। এ ছাড়া আ স ম আবদুর রব, কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, মাহমুদুর রহমান মান্নাও নির্বাচন করছেন। তারাও হয়তো অনেক জায়গায় প্রচারে যেতে পারবেন না।তবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন না করার কারণে তাকে সব সময় পাওয়া যাবে।

এদিকে আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণা ১১ ডিসেম্বর শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু‘ বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধামন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা দেশে না থাকায় সময় পরিবর্তন করে ১২ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিস’ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারে নামছে আওয়ামী লীগ। এদিন দুপুরে টুঙ্গিপাড়া থেকে এই প্রচার কার্যক্রম শুরু করবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে নির্বাচনী প্রচারের কাজে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে গতকাল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে কোনো বাধা নেই। নির্বাচনী প্রচারনায় পিছিয়ে নেই ঢাকার প্রার্থীরা। জানা গেছে, এবার ১৯ দিন প্রচার কাজ চালানোর জন্য সময় পাচ্ছেন প্রার্থী-সমর্থকরা। প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে ২৮ ডিসেম্বর মধ্য রাত ১২টায়।

এদিকে মহান বিজয় দিবসের পর আগামী ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে পারেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর প্রকাশ করা হবে।’ জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ‘দিন বদলের অভিযান, অদম্য বাংলাদেশ’, ‘গ্রাম হবে শহর’, ‘সমৃদ্ধির বাংলাদেশ’সহ এমন ১৪টি স্লোগানসহ ইশতেহারের খসড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে একটি বেঁছে নিবেন শেখ হাসিনা। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে গুরুত্ব পাচ্ছে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি বিষয়েরও ঘোষণা থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় উত্সবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা

আমাদের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ও কোটালীপাড়া সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়ায় উত্সব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ জনসভাকে সফল করতে প্রশাসন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস’া, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা তত্পর হয়ে উঠেছেন। গতকাল সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারনা শুরু হয়েছে। প্রচার প্রচারনায়কোটালীপাড়ায় উত্সবের আমেজ বিরাজ করছে। বর্নিল সাজে কোটালীপাড়াকে সর্জিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে বিপুল উত্সাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকায় ৫টিসহ সারাদেশে ১৫টি নির্বাচনী সমাবেশ করবে ১৪ দল

এদিকে রাজধানীতে ৫টিসহ সারাদেশে ১৫টি নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করবে ১৪ দলীয় জোট। এসব নির্বাচনী সমাবেশে নেতৃত্ব দিবেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও স্বাস’্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ জেলা সফরের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হবে। ১১ ও ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তারাশ ও শাহাজাদপুরে ১৪ দলের নির্বাচনী সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১৩, ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিল, মিরপুর, লালবাগ, শ্যামপুর ও কোতয়ালীতে এবং ১৯ ডিসেম্বর ফেনী, ২১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া, ২২ ডিসেম্বর রাজশাহী, ২৩ ডিসেম্বর নওগাঁ ও ২৪ ডিসেম্বর গাইবান্ধয় ১৪ দলের নির্বাচনী সমাবেশ হবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তরুণদের প্রথম ভোট স্বাধীনতার পক্ষে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস’্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দেশবাসী আবারও শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রচারণায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার

আওয়ামী লীগ সারাদেশে ৩০০ আসনে ভোট কেন্দ্রভিত্তিক ৪০ সহস্রাধিক কমিটি গঠন করেছে। প্রতিটি কমিটিতে রাখা হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ জন নেতাকর্মী। দলের জেলা-উপজেলা কমিটি এবং দল-জোট মনোনিত প্রার্থী ভোট কেন্দ্রভিত্তিক এসব কমিটি গঠন করেছেন। এসব কমিটি প্রচার-প্রচারণার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এদিকে ১৬ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে জেলা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে বিজয়মঞ্চ করে দল-জোট মনোনিতদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য কাজ করছেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ বেলা ১১টায় এফডিসির সামনে থেকে দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, চিত্রশিল্পী এবং চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন। বর্তমান এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ গান তৈরি করেছেন দলের প্রচারণার জন্য। সেগুলো সিডি আকারে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কতগুলো ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করা হয়েছে। ভিডিও কন্টেন্টগুলো শিল্পীরা তাদের ফেসবুকে শেয়ার করছেন।

তরুণ ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট চাইলেন সাকিব আল হাসান

গতকাল সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিউশন মিলনায়তনে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিতে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘হ্যাশট্যাগ আই অ্যাম বাংলাদেশ’ বা ‘আমিই বাংলাদেশ’ প্রচারণার উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে তরুণ নতুন ভোটারদের কাছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট চান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর অবশ্যই উন্নয়নের পক্ষে সকাল থেকে ভোট দেবেন। আমরা সবাই জানি, আমরা কাকে ভোট দেব। অবশ্যই আমরা নৌকাকে ভোট দেব।’ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একটি অংশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবীর, ঢাকা চেম্বার সভাপতি আবুল কাসেম খান, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, অভিনেতা ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক ফরহাদ আনোয়ার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণ-তরুণীরা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং অতিথিরা উত্তর দেন। প্রধান অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেই দিন বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যার যার অবস’ান থেকে অনেক কাজ করতে হবে।’

তরুণদের উদ্দেশে অভিনেতা ফেরদৌস বলেন, ‘পক্ষ এখন একটাই। আমরা সেই পক্ষেই থাকব। আমরা নৌকায় ভোট দেব।

ইত্তেফাক/আরকেজি