নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে শনিবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। যিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ছয়বারের নির্বাচিত সম্পাদক। এ নিয়ে যখন রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম, তখন আহত খোকনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। যিনি নোয়াখালীরই অন্য একটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগ, প্রচারণাকালে খোকনের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। আর সেই হামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে গেলে আহত হন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
রবিবার সকালে ফেনীর ফেনী রাজাঝির দিঘী পাড়স্থ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেরাই পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চায়। হামলার ছক তারাই তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা করেছে, পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তারা পুলিশকে বাধ্য করেছে হস্তক্ষেপ করতে। সে অবস্থায় মাহবুব উদ্দিন খোকন আক্রান্ত হয়েছেন। তার গায়ে ছররা গুলি লেগেছে। তাকে হাসপাতালেও থাকতে হয়নি, প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি বাসায় ফিরে গেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির হামলায় ইতোমধ্যেই নোয়াখালী ও ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দু’জন কর্মী নিহত হয়েছে। বিএনপির কোন কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়নি। আহত-নিহত হয়েছি আমরাই। এ থেকে বোঝা যায় দেশে অস্থিতিশীলকারী তারাই, আওয়ামী লীগ নয়।
আরো পড়ুন: বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ
সব ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও নির্বাচন যথাসময়ে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চক্রান্ত যতই হোক নির্বাচন ইনশাল্লাহ হবে, কোন অপশক্তিই ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ জাহানারা বেগম সুরমা, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন প্রমূখ।
ইত্তেফাক/কেআই