আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে নির্বাচনীয় ইশতেহার ঘোষণার প্রাক্কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. কামাল বলেন, ৫০ বছরে এমনটা দেখিনি। ঐক্যফ্রন্টের প্রত্যেকটি প্রার্থীর ওপরে হামলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন। আগামী সাধারণ নির্বাচনের দিন ৩০ ডিসেম্বর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিশ্বাস করে, সেদিন দলে দলে, জনে-জনে, মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে। ভোট দেবে, ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করে ভোটের অনিয়ম ভোট শেষ হওয়ার পরে নিজেদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া দেখে বাড়ি ফিরবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এক গণঅভ্যুত্থানের দিন হবে ৩০ ডিসেম্বর।
আরো পড়ুন: ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যা রয়েছে
ড. কামাল বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পরে বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের নানা রকম পক্ষপাতমূলক আচরণ আমাদেরকে শঙ্কিত করেছে।
ড.কামাল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছিল সেটা সংবিধানে বর্ণিত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। ঐক্যফ্রন্টের এই নির্বাচনী ইশতেহার জনগণের কল্যাণে জনমতের ভিত্তিতে এটা তৈরি করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এএম