শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মূল বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে: ড. কামাল

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:০৬

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ভোটের নানা অনিয়ম, কারচুপির বিবরণ দিলেন ফ্রন্টের প্রার্থীরা। 

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে সভাপতির বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, গণশুনানিতে বিচারক প্যানেলে যারা রয়েছেন- বিচার করার ক্ষমতা তাদের নেই। মূল বিচার হবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে। গণশুনানিতে যেসব বক্তব্য আসবে সেগুলো রেকর্ডে রাখা হবে, তা পরবর্তী সময়ে বই আকারে প্রকাশ করা হবে। 

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে গণশুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন।

গণশুনানির শুরুতে ড. কামাল বলেন, গণশুনানি হচ্ছে, প্রার্থীরা জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। আর গণআদালত যেটা বলা হয়, সেটার বিচার জনগণ করবে। আমরা এসেছি অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য। গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানোনো। 

তিনি আরও বলেন, ভোটাধিকার রক্ষার জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে লেখা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। এবার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রার্থীদের অনেকে ট্রাইব্যুনালে মামলা আকারে ফাইল করেছেন। দলের নেতাদের ধারণা হলো, নির্বাচনে আসলে কী ঘটেছে, সেটা জনগণকে জানানো দরকার। কেননা, তারা ক্ষমতার মালিক হিসেবে ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ভারতে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি!

ড. কামালের বক্তব্যের পর মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশে একটি প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় যা ইচ্ছা তা-ই করছে সরকার। তাকে কোনও কিছুর জন্যই জবাবদিহি করতে হয় না।

গণশুনানিতে সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ড. আসিফ নজরুল, সাবেক বিচারক আ ক ম আনিসুর রহমান খান ও আইনজীবী মহসিন রশিদ। 

ইত্তেফাক/এমআই