বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চাটমোহরে বিরল রোগে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ২১:২৯

চাটমোহরে বিরল যোগে আক্রান্ত সাত বছরের শিশু তাহাবিকে বাঁচাতে তার মা মৌসুমী খাতুনের আকুতি সকলের কাছে। পুরো শরীর জুড়ে দগ দগে ঘা নিয়ে শিশুটি এখন চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সাধীন। ঘা থেকে ঝরছে রক্ত। গোনা যাচ্ছে পাঁজরের হাড়। ঘায়ের যন্ত্রণায় কাতর শিশুটির মুখে হাসি নেই। চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর খামারপাড়া গ্রামের দিনমজুর হোসেন আলী ও মৌসুমী খাতুন দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে ছোট তাহাবি হোসেন। ছেলেকে সুস্থ করতে ডাক্তার, কবিরাজ কোনো কিছুই বাদ দেননি বাবা-মা। বাড়ির পোষা গরু-ছাগল বিক্রি ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চিকিত্সা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি। গত ১১ নভেম্বর দুপুরে শিশুটি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি করা হয় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

মা মৌসুমী খাতুন জানান, জন্মের পর তাহাবির হাঁটুতে লাল রক্তের জমাট বাঁধে। পরে ফেটে গিয়ে সেখানে ঘা হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই পুরো শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ঘা। দেখে মনে হবে আগুনে পুড়ে গেছে শরীর। ঘায়ের যন্ত্রণায় সারারাত ঘুমাতে পারে না তাহাবি। শুধুই কান্নাকাটি করে। স্বজনরা কেউ কোলে নিতে চায় না। ছেলের এমন কষ্ট সহ্য হয় না মা মৌসুমী খাতুনের। টানা তিন বছর পাবনা, রাজশাহী ও ঢাকায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা করানোর পর কোনো উন্নতি না হওয়ায় হাল ছেড়ে দিয়েছেন বাবা। অর্থাভাবে এখন চিকিত্সা বন্ধ রয়েছে শিশুটির।

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. স. ম. বায়েজীদ-উল ইসলাম বলেন, তাহাবি নামের শিশুটি মারাত্মক চর্মরোগে আক্রান্ত। অপুষ্টি থেকে সাধারণত এমন রোগ হয়ে থাকে। সচরাচর এমন রোগী দেখা যায় না। শিশুটিকে সুস্থ করতে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত। উপজেলা পর্যায়ে এই শিশুর চিকিত্সার কোনো ব্যবস্থা নেই।

তাহাবিকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে আকুতি জানিয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন মা মৌসুমী খাতুন। সহযোগিতা করার ঠিকানা: বিকাশ নং- ০১৮৩৫৪৯০৭২৮।