শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই সমন্বিত উদ্যোগ’

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:০৫

ইত্তেফাক রিপোর্ট

মানবাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অধিকারকর্মী ও সরকারের ভূমিকার মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দেশে মানবাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে অধিকারকর্মী ও সরকারকে সমন্বিত ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। গতকাল বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট অন ইউপিআর আউটকাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় তারা এমন মন্তব্য করেন। সভা থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদও দেয়া হয়েছে। বক্তারা বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকারের কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন এ সভার আয়োজন করে।

‘ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ’ (ইউপিআর) হচ্ছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া; যা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এ প্রক্রিয়ার অধীনে সাড়ে চার বছর পর পর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার সুযোগ পায় এবং তার আলোকে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ ঘোষণা করে। মানবাধিকারের সুরক্ষায় সর্বশেষ ইউপিআর ফোরামের ২৫১ সুপারিশের মধ্যে ১৭৮টি চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।

আর্টিকেল নাইনটিন-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আবদুস সালাম। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন।