বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ধান ও পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ কৃষক

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৪৬

 ‘শ্রমিক ছাড়া ধান কাটিয়া তোলা সম্ভব অয় না। শ্রমিকের মজুরি দিতে ও খরচ চালাইতে বাধ্য অইয়া ধান বিক্রি করতে অয়। এক মণ ধান বেচিয়া পাই ৫শ’ টাকা আর একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে অয় ৪শ’ টাকা। এভাবে ক্ষেত করিয়া আমরার বাঁচার উপায় নাই, বাধ্য অইয়াই ধান বেচা লাগের।’ কথাগুলো বলছিলেন কমলগঞ্জের ধূপাটিলা গ্রামের কৃষক আকতার মিয়া।

উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের কৃষক ও ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ী মোজাহিদ মিয়া ও পতনঊষার বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শরিফ আলী বলেন, সম্প্রতি কাটা আমন ধানের বাজারমূল্য মণ প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কৃষকরা ধান বিক্রি করেই দেনা, শ্রমিকের খরচ ও সংসারের খরচ বহন করছে। ফলে বাধ্য হয়েই তাদের ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এসব ধানের মান তেমন ভালো না থাকায় দাম কম হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন।

স্থানীয় কৃষক মনু মিয়া, রমজান আলী ও শামছুল ইসলাম বলেন, এক মণ ধান উত্পাদনে সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ থেকে ৫শ’ টাকা খরচ হয়েছে। এখন একই দামে ধান বিক্রি করে কি লাভ? কৃষকরা লোকসান দিয়ে ধান বিক্রি করার পর দাম বেড়ে যাবে। তখন লাভবান হবেন মহাজন ব্যবসায়ীরা। তাই কৃষকদের ক্ষতি ছাড়া কোনো উপায় নেই।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, বাজারে কম দামে ধান বিক্রি সম্পর্কে কৃষকদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

তবে উপজেলার শমশেরনগর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা সাকির আহমদ বলেন, ধান কেনার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য আসেনি।

পেঁয়াজের বাজার মন্দা

সুজানগর (পাবনা) সংবাদদাতা

সুজানগরের হাট-বাজারে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। তবে হাট-বাজারে নতুন ওঠা ওই পেঁয়াজের বাজার মন্দা হওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

উপজেলার তৈলকুণ্ডু গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, সাধারণত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন ওই পেঁয়াজ উঠানো শুরু হয়। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ দ্রুত বড় হয়েছে। ফলে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই পেঁয়াজ উঠানো শুরু হয়েছে। তা ছাড়া কৃষকরা মৌসুমি পেঁয়াজের লোকসান পোষাণোর আশায় আগেভাগে জমি থেকে ওই পেঁয়াজ উঠাচ্ছেন। তবে বাজার মন্দা হওয়ায় কৃষকরা হতাশ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল হক সরকার বলেন, এ বছর চাহিদার তুলনায় মূলকাটা পেঁয়াজ উত্পাদন হয়েছে বেশি। তা ছাড়া নির্বাচনের বছর বেশির ভাগ কৃষি পণ্যের দাম কমে যায়। সে কারণে পেঁয়াজের দাম বেশ কম।