দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েক দফা আলোচনার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে অবসান হয়নি শিক্ষা কার্যক্রমে টানা দুই মাসের অচলাবস্থার। এদিকে অচলাবস্থার কারণে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৯ সালের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের পক্ষে সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় জানান, আমাদের মূল দাবি শিক্ষকদের যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের বিচার। এ দাবি মেনে নিলে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাবো। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন গুরুত্বারোপ করছে না, যাতে করে সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. সফিউল আলম জানান, আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের লাঞ্ছিতর যে অভিযোগ উঠেছে তার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অচিরেই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১ জন সহকারী অধ্যাপক বেতন বৈষম্যের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর বিধান হালদারের কক্ষে যান। সেখানে তাদের উপর হামলা হলে সেদিন থেকে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, সহকারী অধ্যাপকদের লাঞ্ছিত ও নারী শিক্ষিকাদের শ্লীলতাহানিকারীদের বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার ও ছাত্র উপদেষ্টার বহিষ্কারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছেন ৬১ জন সহকারী অধ্যাপক। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামও।