মা ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামের ছাবেদউল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন কিশোরগঞ্জের প্রথম আদালতের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম আল মাসুদ। তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ছাবেদউল্লাহ পেশায় একজন চোর ও পকেটমার। এই নিয়ে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে বসবাস করতো। ছাবেদউল্লাহর পিতা মারা যাওয়ার পর তার মা জহুরা খাতুন তার চাচা ইয়াকুব আলীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। ছাবেদউল্লাহ ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে নিজের ভিটে-বাড়ি না থাকায় চাচা ইয়াকুব আলীর ঘরে ঘুমাতো। ২০০৩ সালের ২৭ জুন ছাবেদউল্লাহ চাচার বাড়িতে আসে এবং স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকেও খবর দিয়ে আনে। ওই রাতে একই ঘরে ইয়াকুব আলী ও জহুরা খাতুন চৌকিতে এবং ছাবেদউল্লাহ ও মনোয়ারা বেগম মাটিতে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত তিনটার দিকে ছাবেদউল্লাহ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে এলোপাতাড়িভাবে ছুরিকাঘাত এবং পরে গলা কেটে হত্যা করে। মনোয়ারা খাতুনের চিত্কার শুনে জহুরা খাতুন চৌকি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ছাবেদউল্লাহ তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে ইয়াকুব আলীর চিত্কার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে রক্তমাখা ছুরিসহ ছাবেদউল্লাহকে আটক করে।
এ ব্যাপারে নিহতের সহোদর আসাদউল্লাহ বাদী হয়ে ছাবেদউল্লাহকে একমাত্র আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তশেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী।