শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ধলাই নদীর বুকে ফসল আবাদ!

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২২

খননের অভাব ও উজান থেকে নেমে আসা পলি-বালু জমে মরে যাওয়া ধলাই নদী এখন ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। নদীর বুকে চলছে চাষাবাদ।

সরজমিনে দেখা গেছে, নদীর কোনো কোনো স্থানে চর আবার কোথাও হাঁটু পানি রয়েছে। নদীর উপরের ভাগে ধানের বীজতলা ও নদীর তলায় ধান রোপণ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের কৃষক আজিম মিয়া জানান, কৃষি কাজে সেচ, গোসলসহ গৃহস্থালি কাজের জন্য পানির চরম সংকটে পড়েছেন নদী পাড়ে বসবাসকারীরা। এছাড়া পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীতে মাছ ধরারও সুযোগ নেই জেলেদের। এতে নদী পাড়ের গ্রামের জেলেরাও পড়েছেন চরম বিপাকে। তিয়শ্রী বাজারের ব্যবসায়ী আরজু মিয়া জানান, এক সময় এ নদী পথে লঞ্চ, কার্গো ও ট্রলার চলাচল করতো। কয়েক বছর আগেও এমন সময় বিভিন্ন উপজেলার সাথে নৌপথে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এখন নদী মরে গেছে। নৌপথ বলতে আর কিছু নেই।

উপজেলার হাসনপুর গ্রামের জেলে বিসু বর্মণ জানান, আগে মগড়া ও ধলাই নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন নদী শুকিয়ে ফসলি মাঠে পরিণত হওয়ায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি।

ধলাই নদীতে বোরো ধান চাষ করা কৃষক ফতেপুর গ্রামের ইঞ্জিল খান জানান, নদী শুকিয়ে যাওয়ায় আমার জমির পাশে নদীতে ধান চাষ করছি। তবে সরকারিভাবে কোনো নিষেধ আসলে ধান চাষ করবো না।

পরিবেশবাদী ও মদন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোতাহার আলম চৌধুরী জানান, নদীগুলো নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় মানুষের ব্যয় বাড়ছে। নদীর উপকারিতা থেকে লোকজন বঞ্চিত হচ্ছে। নদীগুলো জরুরি ভিত্তিতে খননের জোর দাবি জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওয়ালীউল হাসান বলেন, মদন উপজেলা দিয়ে যে মগড়া নদী প্রবাহিত হয়েছে তা খনন কাজ শুরু হয়েছে। ধলাই নদী খনন প্রয়োজন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবো।