বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মুলাদীতে ঊনত্রিশ বছরেও নির্মিত হয়নি চরগাছুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৫০

মামলা জটিলতায় উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের ১১০নং চরগাছুয়া পদ্মারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২৯ বছরেও নির্মাণ হয়নি কোনো ভবন। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন টিনের ঘরেই চলছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির আগ্রহ হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আলম জানান, ১৯৮৯ সালে গাছুয়া ইউনিয়নের পদ্মারহাট এলাকার শিক্ষার আলো বঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় চরগাছুয়া পদ্মারহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি রেজিষ্ট্রার্ডভুক্ত এবং জাতীয়করণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার সময়ে গাছুয়া ইউনিয়নের শ্রীমতি গ্রামের আইজ উদ্দীন সরদারের দুই পুত্র সৈয়দ আলী সরদার ও জালাল সরদার বিদ্যালয়ের নামে ৫০ শতাংশ জমি দান করেন। ২০০৫-২০০৬ সালের দিকে সৈয়দ আলী ও জালাল সরদার বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করে একতরফা ডিক্রির মাধ্যমে ওই জমি তাদের নামে করে নেন। বিদ্যালয়ের নামে কোনো জমি না থাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা কমিটির কাছে আবেদন করে বিদ্যালয়টি মধ্যগাছুয়া শাহজামালের বাড়ির সামনে স্থানান্তর করে নেয়। বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের ৪ বছর পরে ২০১০ সালে জালাল সরদার পুনরায় তার জমিতে বিদ্যালয় ফেরত নেওয়ার জন্য আদালতে আবার মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলম।

 বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সোহেল পারভেজ জানান, দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি চলমান থাকায় উপজেলা শিক্ষা অফিস এই বিদ্যালয়ের জন্য কোনো ভবন নির্মাণের সুপারিশ করেননি। ফলে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে পুরাতন একটি টিনের ঘরেই শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে। শিক্ষার উন্নত পরিবেশ না থাকায় শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির মামলা সংক্রান্ত বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ভবন নির্মাণের আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।