পীরগাছায় চাঞ্চল্যকর ফিরোজ মিয়া ফেরেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কাবিলাপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়া ফেরেসকে (২২) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও না পেয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি পীরগাছা থানায় সাধারণ ডাইরি করেন ফেরেসের বাবা। এদিকে ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কি.মি দূরে মাষাণকুড়া নদী সংলগ্ন নির্মাণাধীন একটি গুচ্ছগ্রামে মাটি চাপা দেয়া একজনের লাশ মাটি খুঁড়ে বের করে কুকুর। লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় এটি ফেরেসের লাশ বলে শনাক্ত করেন তার পরিবারের লোকজন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাত্ক্ষণিক টিপু, শাহিন মিয়া, সুলতান হোসেন ও জাহিদুল ইসলামকে আটক করে। এদের মধ্যে শাহিন মিয়া গত বুধবার ও জাহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে চারজনই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে আদালতে স্বীকার করেছেন।
পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, আটক চারজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জবানবন্দিতে তারা বলে, ফেরেসের কাছে লক্ষাধিক টাকা ছিল। ওই টাকা নিতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়।