শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে গৌরনদীর পালরদী নদী!

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৪৩

এক সময়ের খরস্রোতা বরিশালের পালরদী নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে গৌরনদীর ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ আড়িয়াল খাঁর শাখা পালরদী নদী। নদীর কোথাও কোথাও এখন হাঁটুপানি। নাব্য সংকটে গৌরনদীর লঞ্চ পৌঁছতে পারছে না তার শেষ গন্তব্যস্থল টরকিতে। গৌরনদী বন্দর লঞ্চঘাটের পন্টুুনে এখন কোনো নৌযানই ভিড়তে পারছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাস থেকে লঞ্চ থাকে টরকি থেকে ৮-৯ কিলোমিটার দূরবর্তী কয়ারিয়া স্টেশনে। পালরদী নদীতে এখন আর চলতে পারছে না বড় কোনো নৌযান। ২০-২৫ বছর ধরেই শুকনো মৌসুমে এ অবস্থা চলছে। ফলে টরকি  বব্দর, কসবা গো-হাট, গৌরনদী বন্দরের ব্যবসায়ীরা গবাদিপশু ও বিভিন্ন মালামাল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। লঞ্চ যাত্রীরাও পড়েছেন মহাবিপাকে। আগে গৌরনদী-ঢাকা ও গৌরনদী-নারায়ণগঞ্জ রুটে দৈনিক ছয়টি লঞ্চ আসা-যাওয়া করত। নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে শুধুমাত্র গৌরনদী-ঢাকা রুটে মাত্র দুইটি লঞ্চ যাতায়াত করছে। গত কয়েক বছর যাবত্ গৌরনদীর হোসনাবাদ বাজার থেকে নদী খনন শুরু করে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। কিন্তু এ কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদীর উভয় তীরে জেগে ওঠা চর দখল করে কিছু প্রভাবশালী গড়ে তুলেছেন ঘর-বাড়ি, দোকান-পাটসহ অবৈধ স্থাপনা। এমনকি গৌরনদী, টরকি বন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে নদী দখল করে পাকা দালান-কোঠা তৈরি করেছেন কেউ কেউ। ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদী দূষণ করা হচ্ছে। সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছেন স্থানীয় প্রশাসন। এ কারণে জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পালরদী নদী দখল ও দূষণের বিষয়টি নিয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নদী দখল ও দূষণকারীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদের বিরুদ্ধে সারা দেশের ন্যায় অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।