শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অর্থাভাবে মায়ের দেওয়া কিডনি প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছে না

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৪৬

ফুলবাড়ি উপজেলার ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আমড়া গ্রামের গার্মেন্টস শ্রমিক সাহেদার রহমানের ছেলে দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র জুলফিকার আলী কিডনি রোগে আক্রান্ত।  পিতা সাহেদার রহমান বলেন, গত একবছর আগে হঠাত্ জুলফিকার অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সা নেওয়া হয়। চিকিত্সার এক পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। চিকিত্সার মাঝপথে অন্য কিডনিটিও আক্রান্ত হয়। এতে ঢাকার চিকিত্সকরা দ্রুত কিডনি দুইটি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। এতে খরচ হবে অন্তত ২০ লাখ টাকা। সহায় সম্বল বলতে দুই শতক জায়গার ভিটেমাটিটুকু বিক্রি করে জুলফিকারের প্রাণ বাঁচাতে ভারতের বেঙ্গালুরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে কিছুদিন চিকিত্সার পর অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে গত জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে বাড়ি ফিরেছেন তারা। সেখানকার চিকিত্সকরা বলেছেন অন্য কেউ একটি কিডনি দান করলেও ছেলের প্রাণ বাঁচানো যাবে। মা নূর বানু বেগম নিজের ছেলের জীবন বাঁচাতে কোনো কিছু চিন্তা না করেই নিজের একটি কিডনি দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু প্রতিস্থাপনের এতো টাকা তারা কোথায় পাবেন। কিডনি পাওয়া গেলে প্রতিস্থাপনের টাকার অভাবে মেধাবী ছাত্র জুলফিকার দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জুলফিকারকে আর্থিক সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০০৮১০৭১৩৩, অগ্রণী ব্যাংক, মাদিলাহাট শাখা, ফুলবাড়ি, দিনাজপুর। অথবা বিকাশ একাউন্ট নং-০১৭৯৮৫৮৯৪৪৪।