শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৪

ইত্তেফাক ডেস্ক

বিভিন্ন স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর ফুলেল শুভেচ্ছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। এ উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্বালন, প্রভাত ফেরি, একুশের গান ও কবিতা পাঠের আসর, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।

চট্টগ্রাম:মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নগরবাসী। একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর কেসিদে রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে পুলিশের একটি চৌকস দলের গার্ড অব অনার প্রদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অবদানের কথা স্মরণ করে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পালা শুরু হয়। প্রথমে শ্রদ্ধা জানান সাবেক মন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এরপর সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেন। এরপর শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। এরপর একে একে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, পুলিশ সুপার নূরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, নগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ, হকার্স লীগের নেতারাও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, সিভাসুসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।  

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী:ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে রাজশাহীর শহীদ মিনারগুলোতে। একুশের প্রথম প্রহরে বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহা. হবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। অন্যদিকে দিবসের প্রথম প্রহরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা ও ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে শিক্ষক-কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগ ও হল প্রধান, শিক্ষক সমিতি ও ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একই সময়ে রুয়েট শহীদ মিনারে উপাচার্য প্রফেসর রফিকুল ইসলাম শেখ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ শহীদ মিনারে রামেবি উপাচার্যের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ উপলক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী পৃথক কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে ছিল প্রভাত ফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল প্রভৃতি।

প্রথম প্রহরে ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, রাসিক মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারী ইউনিট, জেলা যুবলীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, রাজশাহী প্রেসক্লাব, ভাষা সৈনিক সাইদউদ্দিন আহম্মেদের পরিবার, মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাপ, বাসদ, ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ (এফএনবি)সহ বিভিন্ন সংগঠন। কোর্ট শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মেট্রোপলিট পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারসহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

 

বরিশাল:আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহর রাত বারোটা এক মিনিটে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। এ সময় তার সঙ্গে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সংসদ সদস্য শাহে আলম তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস উপস্থিত ছিলেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, পুলিশ সুপার। এ ছাড়াও বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, বরিশাল জেলা পরিষদ, মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, শিক্ষক সমিতি, বরিশাল ক্লাব লিমিটেড, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়বাত বরিশাল প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সংগঠন সমম্বয় পরিষদ, সরকারি বিএম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, বেগম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতা-কর্মীরা প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। সকালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের নেতৃত্বে জেলা ও মহানগর বিএনপি শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

রংপুর: একুশে ফেব্রুয়ারি রাতের প্রথম প্রহরে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরসহ আশপাশে সড়কে নামে মানুষের ঢল। রাত ১২টা এক মিনিট থেকে ভাষা সৈনিক পরিবার, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহম্মদ জয়নুল বারী, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানমসহ রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), ওয়াকার্স পার্টি ও রাজনৈতিক দলের অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন, রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ভিডিও জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একে একে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজসহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক সভা, শিশু-কিশোরদের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

খুলনা: খুলনায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে  খুলনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও কেএমপি কমিশনার, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি (এ), জাতীয় পার্টি-জেপি, চেম্বার অব কমার্স, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,  খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধাসরকারি,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ভোর হতেই প্রভাতফেরী সহযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।

ময়মনসিংহ:কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহম্মেদ এমপি প্রথম প্রহরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ইকরামুলক হক টিটু, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মানুষ শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ডা. কে আর ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহাম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধ্যাপক মুহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম, এএইচএম খালেকুজ্জামান অ্যাডভোকেট, অধ্যাপক আতিকুর রহমান, সালিম হাসান, অ্যাডভোকেট মামুন মাহফুজ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মো. বাবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নরসিংদী:নরসিংদীতে রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। এরপর প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। পরে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পার্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। নরসিংদী সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নরসিংদী সদর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম হিরু ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

কুমিল্লা:কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হক এমপি। দলের জেলা সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, মফিজুর রহমান বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম রতন প্রমুখ। এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাগেরহাট: এ উপলক্ষে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ। রাত বারোটা এক মিনিটে সংগঠনগুলো সমবেত হয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে এসে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকাল ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রভাত ফেরি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্রভাত ফেরিতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

শরীয়তপুর: ভাষা সৈনিকদের প্রতি স্থানীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দেসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া:একুশের প্রথম প্রহরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল শহীদদের সম্মানে রাষ্ট্রীয় সালাম জানান। এ ছাড়া আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গোপালগঞ্জ:গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ও গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পরে একাডেমিক ভবনে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর বি.কে বালা, প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ড. গোলাম শাহী আলম, আইন অনুষদের ডীন মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়া, ফামের্সি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম, প্রভাষক শামীমা আক্তার, এমদাদুল হক, সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা নূরুন নাহার, শিক্ষার্থী সবকত শোয়েব দেশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নোয়াখালী:দিবসের শুরুতে জেলা শহর মাইজদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তপক অর্পন করেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক তম্ময় দাস, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াশ শরীফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজমুল হকসহ নোয়াখালী পৌরসভা, প্রেসক্লাব, মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন। এ ছাড়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিসি প্রফেসর ড. অহিদুজ্জামানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

রাঙ্গামাটি:একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ১ মিনিটে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সদস্য ও কর্মকর্তারা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের পক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা পুলিশের পক্ষে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। সকাল অবধি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন রাঙ্গামাটি জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। রাঙ্গামাটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে দেশের ও ভাষা শহীদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে গান পরিবেশন করা হয়। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল। সকল মসজিদ, মন্দির, ও প্যাগোডায় ভাষা শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ।