শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রংপুরে নার্সদের মানববন্ধন ও পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও

আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৯, ২২:২৮

সিলেকশন গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি

রংপুর অফিস

সিলেকশন গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করেন স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ ও নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। গত বুধবার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে জেলার সর্বস্তরের নার্স এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সরকারের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সিলেকশন গ্রেড পেলেও নার্সরা পাচ্ছে না। সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোঃ নাসিম নার্সদের পদোন্নতি ও সিলেকশন গ্রেড প্রদানের নির্দেশ দিলেও তা দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়িত হয়নি বলে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই সিলেকশন গ্রেড বাস্তবায়ন না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন। নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের সভাপতি মোঃ ফোরকান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কামাল, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম শামীম, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোছা. আজমিরা বেগম, নার্সিং সুপারভাইজার মোঃ আতাউর রহমান মণ্ডল, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের কার্যকরী সভাপতি মোঃ মনোয়ারুল আলম মনা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম লিমন, ফরিদ আহমেদ, হুমায়ূন রশিদ হিমু, সেলিম চৌধুরী, মিনারা বেগম, আয়শা খাতুন, তবারক হোসেন, হারুন অর রশিদ, রেহেনা খাতুন, আছমা খাতুন, আমিনা খাতুন ও আজিবর রহমানসহ  অন্যরা।

মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় কুমার রায়ের কার্যালয় ঘেরাও করেন এবং তার মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর এর আগে সরকারের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছে। নার্সিং কর্মকর্তারা গত ’১৫ সালের মে মাসে একটি সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। ১৯৯৯ ও ২০০১ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদানকৃত নার্সিং স্টাফরা একটি টাইমস্কেল পেয়ে থাকলেও এরপর আর কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায়নি।