শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:০৩

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকা মার্কায় মহাজোট প্রার্থী প্রকাশ্যে এবং ধানের শীষ মার্কায় ঐক্যফ্রন্ট-এর প্রার্থী নেতা-কর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে গোপনে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কায় অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম খান চঞ্চল এবং ঐক্যফ্রন্ট-এর প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষের অধ্যাপক মতিয়ার রহমান মনোনয়ন পেয়েছেন। আরো প্রার্থী থাকলেও মূলত এই দুই জোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। গত কয়েকদিনে মহাজোট প্রার্থী বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে মত বিনিময় সম্পন্ন করেছেন। এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছেন। অপরদিকে ঐক্যফ্রন্টের চারজন প্রার্থী ধানের শীষের দাবিদার থাকায় তাদের কার্যক্রম ঝিমিয়ে ছিল।

শনিবার ঐক্যফ্রন্ট-এর প্রার্থী চূড়ান্ত হলে তারা গোপনে কার্যক্রম শুরু করেছে। এই আসনটি নিয়ে দুই জোটই তাদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের পর ১০টি সংসদে আওয়ামী লীগ তিনবার, বিএনপি চারবার (একটি বিতর্কিত) জামায়াত দুইবার, জাতীয় পার্টি একবার প্রতিনিধিত্ব করে। আসনটি দীর্ঘদিন জামায়াত-বিএনপির দখলে ছিল। হিসাব-নিকাশ করে দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের বেদখল ছিল এই আসনটি। টানা ১০ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত হয়েছে। নেতা-কর্মীরা দাবি করছে তাদের ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একটি ভোট ব্যাংক তৈরি হয়েছে।

অপরদিকে এই আসনটি জামায়াত-বিএনপির দখলে ছিল ছয়বার। বিগত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হলেও মহেশপুর-কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাচনে-চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় জামায়াত ও বিএনপির প্রার্থী। অপরদিকে বিগত ইউপি নির্বাচনে এ আসনে ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫টিই আওয়ামী লীগের দখলে। জামায়াত পেয়েছে দুইটি। এই আসনে কোটচাঁদপুর-মহেশপুর পৌরসভা দুইটি বর্তমানে আওয়ামী লীগের দখলে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়জদ্দীন হামীদ বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ আগের থেকে সাংগঠনিক শক্তি অনেক বেশি। বিগত ১০ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে জনগণ খুশি। তারা সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা চায় না। দলের মধ্যে বর্তমানে কোনো বিভেদ নেই। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সবাই এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই আসনটি তাদের পক্ষে ধরে রাখা সম্ভব।

সাবেক এমপি ও বর্তমান মহাজোট প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম খান চঞ্চল বলেন, তিনি সকল নেতা-কর্মীকে নিয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। সকল নেতা-কর্মী নৌকাকে বিজয়ী নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। বিএনপির সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন বলেন, আমাদের প্রার্থী দেখার সুযোগ নেই। ধানের শীষকে বিজয়ী করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই আসনে ধানের শীষ বিজয়ী হবে। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় তাকে আজ পর্যন্ত প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।