শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিআইপি সম্মাননা পেলেন ১৭৮ ব্যবসায়ী

রপ্তানি ৪৬ বিলিয়ন ডলার হওয়ার আশা বাণিজ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০৫

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবাখাত মিলিয়ে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৪৪ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার। তবে গত পাঁচ মাসের রপ্তানির পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, আলোচ্য সময়ে ১৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। সেই হিসাবে চলতি বছর রপ্তানি ৪৫ থেকে ৪৬ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজারে টিসিবি ভবনে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের (সিআইপি) সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

২০১৬ সালে রপ্তানি বাণিজ্যে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১৩৭ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব (সিআইপি, রপ্তানি) নির্বাচন করেছে সরকার। এ ছাড়া সিআইপি (বাণিজ্য) নির্বাচিত হয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের ৪১ পরিচালক। মোট ১৭৮ ব্যবসায়ীর হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ ব্যবসায়ী নেতা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বিশ্ব অর্থনীতির দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর ক্রয়াদেশ বাংলাদেশ এসেছে। যদিও আমরা তা (বাণিজ্যযুদ্ধের মাধ্যমে সুবিধা) চাই না।

বর্তমান রাজনীতি বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি। আর স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির সঙ্গে ঐক্য করেছে পক্ষের (ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ইঙ্গিত করে) শক্তি।

সিআইপি নীতিমালা অনুসারে, ২০১৬ সালের জন্য ১৯ খাতের ব্যবসায়ীদের কার্ড প্রদান করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়াজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, প্লাস্টিক পণ্য, ওভেন ও নিটওয়্যার পোশাক, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য।

সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তিরা সচিবালয়ে প্রবেশে বিশেষ পাস, ব্যবসা-সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও নৌপথে সরকারি যানবাহনে সংরক্ষিত আসনে অগ্রাধিকার, বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ভিসা প্রাপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন ইস্যু করা হবে।

এ ছাড়া তাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিত্সার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপি (রপ্তানি) কার্ডের আওতায় এক বছর ও পরবর্তী সিআইপি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন। বাণিজ্য সংগঠনে পদ বহাল থাকা বা পরবর্তী সিআইপি ঘোষণার আগ পর্যন্ত সুবিধা পাবেন সিআইপি (বাণিজ্য) নির্বাচিত ব্যক্তিরা।