শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

bাফ ট্যুরিজম পার্কে ক্যাবল কার স্থাপনে পরামর্শক সেবা দেবে চুয়েট

আপডেট : ২১ মার্চ ২০১৯, ২১:৪৩

ইত্তেফাক রিপোর্ট

টেকনাফে নাফ ট্যুরিজম পার্কে ক্যাবল কার স্থাপনে পরামর্শক সেবার কার্যক্রমের জন্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নাফ ট্যুরিজম পার্ক দেশের সর্ব দক্ষিণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীর তীরে অবস্থিত ডিম্বাকৃতির একটি দ্বীপ। জালিয়ার দ্বীপ নামে পরিচিত এ দ্বীপে গড়ে উঠতে যাচ্ছে দেশের সর্ব প্রথম দ্বীপ ভিত্তিক পরিকল্পিত ট্যুরিজম পার্ক, নাফ ট্যুরিজম পার্ক। টেকনাফে সুদৃশ্য নেটং পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ২৯০ একরের এ দ্বীপটিকে পর্যটন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে বেজা বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে নেটং পাহাড় থেকে এ দ্বীপ পর্যন্ত  প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ক্যাবল কার লাইন স্থাপন করা হবে। চুয়েট ফিজিবিলিটি স্টাডি, পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব সমীক্ষা সম্পন্ন করবে এবং এসবের পরিপ্রেক্ষিতে একটি কাঠামোগত ডিজাইন প্রস্তুত করা হবে। এজন্য প্রায় ৩৮ মাস সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গতকাল রাজধানীর বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজজামান খান কবির। সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। বেজার পক্ষে মহাব্যবস্থাপক শোহেল রহমান চৌধুরী এবং চুয়েটের পক্ষে ব্যুরো অফ রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সির পরিচালক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এসময় জানানো হয়, ঝুলন্ত ব্রিজ, ৫ তারকা হোটেল, রিভার-ক্রুজ, সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের বিশেষ ব্যবস্থা, ভাসমান জেটি, শিশুপার্ক, ইকো-কটেজ, ভাসমান রেস্টুরেন্টসহ নানাবিধ বিনোদনের সুবিধা এ দ্বীপে থাকবে। পার্ক নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট কাজ চলমান রয়েছে যার ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৭০%।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটি আধুনিক ক্যাবল কার স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাংলাদেশ এখন আরেকটি ইতিহাস রচনা করতে চলেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টির পাশাপাশি বিশেষায়িত এবং বিশ্বমানের পর্যটন পার্ক তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এসব পার্ক নির্মাণ করে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ড ইমেজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আগামী পহেলা ডিসেম্বরের মধ্যে সীমিত আকারে নাফ ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ট্যুরিজম পার্কে বিনিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে দেশি এবং বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখাচ্ছে। খুব শীঘ্রই পর্যটন শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ এবং পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।