শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সীতাকুণ্ডে পুলিশের গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা, সংঘর্ষ

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:২৪

সীতাকুন্ডে পুলিশের গাড়িতে হামলা করে আটক এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় সংঘর্ষে এসআইসহ পুলিশের চারজন আহত হয়েছে। পরে আরো পুলিশ ফোর্স গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার অফিস থেকে ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক ইয়াবা ব্যবসায়ী অহিদুল আলম সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রাতে ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফুলতলা রাস্তার মাথায় যুবলীগ নেতা অহিদুল আলমসহ কয়েকজন ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে বলে পুলিশ জানতে পারে। এ সংবাদ পেয়ে থানার এস আই হারুনুর রশিদ ও আমির হামজা ঘটনাস্থলে গিয়ে অহিদকে ইয়াবাসহ আটক করে। তাকে আটক করে পুলিশের ব্যবহূত মাইক্রোতে (চট্ট.মে. চ-১১-৩৫২৩) তুলে নিয়ে আসার সময় অহিদের সাঙ্গপাঙ্গরা গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এতে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং অহিদকে তার সঙ্গীরা ছিনিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সদস্য মোঃ ইদ্রিছের অফিসে নিয়ে যায়। থানার ওসি (অপারেশন) মোঃ জাব্বারুল ইসলাম সংঘর্ষের ঘটনা শুনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় অহিদসহ ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময়  অহিদের দেহ তল্লাশি করে ১৩৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের উপর হামলাকারী আটককৃত অন্যরা হলেন—মোঃ সাহাব উদ্দিন (৪২), সাদেক (২৫), নুর উদ্দিন (৩১), নয়ন (২৪) ও আলাউদ্দিন (৩৮)। আটককৃত সকলের বাড়ি সীতাকুন্ড ও মিরসরাই উপজেলায়। ইয়াবা ব্যবসায়ী অহিদ ইয়াবাসহ আটক হয়ে কয়েকবার জেলও   খেটেছে বলে জানা গেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—এসআই হারুনুর রশিদ, এএসআই হাসান তারেক, কনষ্টেবল সোহেল ও সোহাগ।

এ ব্যাপারে সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মোঃ জাব্বারুল ইসলাম বলেন, যুবলীগ করলেও প্রকৃতপক্ষে অহিদ একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং কয়েক মাস পূর্বে সে ইয়াবাসহ আটক হয়ে জেলও খাটে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ ইদ্রিছ দাবি করেছেন, পুলিশ সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদকে ইয়াবার মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। পুলিশের হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় অহিদসহ অন্যরা পরবর্তীতে আমার অফিসে এসে অবস্থান নিয়েছিল। পুলিশ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।