প্রতিটি প্রাণির বেঁচে থাকার এবং বেড়ে ওঠার জন্য খাবারের প্রয়োজন হয়। যার শরীর যত বড় তার ক্ষুধা তত বেশি— এটাই প্রচলিত ধারণা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা একটি বিস্ময়কর তথ্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, দুনিয়ার সবচে বেশি ক্ষুধার্ত হচ্ছে ক্ষুদ্রতম পাখি হামিংবার্ড। এটি এতই ক্ষুধার্ত যে যতক্ষণ জেগে থাকে তার প্রায় সবটুকু সময় হয় খাবার খোঁজাখুঁজি নয়তো খাবার গ্রহণের মধ্যে থাকে। একটি হামিংবার্ড কতটুকু বেশি খাবার খায়? এই প্রশ্নটি সহজে বুঝানোর জন্য গবেষকরা বলেছেন, একজন মানুষ যদি দিনে ৩০০টি বার্গার খেত তবে ওই মানুষটি তার শরীরের তুলনায় যতটুকু বেশি খাবার খেত হামিংবার্ড প্রতিদিন তার শরীরের তুলনায় ততটুকু বেশি খায়।
প্রশ্ন উঠতে পারে এতটুকুন পাকস্থলির হামিংবার্ডের কেন এত খাবারের প্রয়োজন হয়। এর কারণ হচ্ছে এরা সাংঘাতিক দ্রুতগতির পাখি। একারণে স্বল্প সময়ে সবচে বেশি ক্যালরি খরচ করে এরা। অন্য পাখিরা বসে বসে খাবার গ্রহণ করলেও হামিংবার্ড খাবার খায় উড়তে উড়তে। এসময় এদের দুই ডানায় ভর করে ভেসে থাকতে হয়। প্রতি সেকেন্ডে এরা ৫০ থেকে ৮০ বার পর্যন্ত ডানা ঝাপটায়। অবিশ্বাস্যভাবে তাদের হূদস্পন্দন (হার্টবিট) মিনিটে ১২০০ বার পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাত্ যে গতিতে খাবার খায় সেই গতিতে শক্তি হারায়। খাবার ছাড়া একটি হামিংবার্ড দুই ঘন্টার মধ্যে মারা যেতে পারে। তাই যেখানে খাবারের স্বল্পতা আছে সেখানে হামিংবার্ড বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই ২৪ ঘন্টা খাবার পাওয়া যায় এমন এলাকা ছাড়া এই পাখিরা বেঁচে থাকতে পারে না। -দ্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক