মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তেরখাদার জলাবদ্ধ ভূতিয়ার বিল

পানি অপসারণে প্রধান অন্তরায় কচুরিপানা ও ভেসাল জাল

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ২২:৪১

তেরখাদার ভূতিয়ার জলাবদ্ধ বিলের পানি নিষ্কাশনের প্রধান অন্তরায় মরা চিত্রা নদী, চিত্রা খাল, মসুন্দিয়া খাল, কাচিকাটা খাল, হাতিসুড়ো খাল, কুমীরডাঙ্গা খালসহ বিভিন্ন খালের কচুরিপানা, একাধিক ভেসাল জাল ও মাছ ধরা পাটা। ভূতিয়ার বিলের জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেওয়ায় উপজেলার তিন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী মোল্লাহাট ও কালিয়াসহ স্থানীয়রা পানি নিষ্কাশনে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন।

জানা গেছে, ভূতিয়ার বিলের পানি কুমীরডাঙ্গা, কাচিকাটা, হাতিসুড়ো এবং নাচুনিয়াসহ ৮/১০টি খাল দিয়ে বের হয়ে মরা চিত্রা খালে পড়ে। ওই পানি জয়সেনা-গাজিরহাট চিত্রা খাল হয়ে বামনডাঙ্গা-মোল্লাডাঙ্গা খাল দিয়ে আতাই নদীতে পড়ছে। আবার এই মরা চিত্রা নদীর কয়েকটি শাখা খাল দিয়ে পানি কোলা-বাসুয়াখালি বিলে পড়ছে। কিন্তু মরা চিত্রা নদী এবং বিল সংলগ্ন অন্যান্য খালে কচুরিপানা, মাছ ধরা পাটা ও ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরায় পানির প্রবাহ একেবারে কমে গেছে।

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুতিয়ার বিলের অনুকূলে অনেক বড় একটি প্রকল্প ইতোপূর্বে বরাদ্দ দিয়েছেন। যা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। ভূতিয়ার বিলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে আবারও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ এনে বিলের পানি নিষ্কাশন করা হবে। তিনি বলেন, নদী ও খালগুলোর কচুরিপানা, ভেসাল জাল ও মাছ ধরা পাটা অপসারণের লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু বলেন, ভূতিয়ার বিল তীরবর্তী খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে সমস্যার সমাধান হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন আলী বলেন, দ্রুত নদী ও খালগুলো পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে। যেটি অবিলম্বে শুরু করা হবে।