শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সরকারি নিয়ন্ত্রণে এলে এলপি গ্যাসের দাম আরও বাড়তে পারে —জ্বালানি সচিব

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:৩১

বাজার প্রতিযোগিতামূলক রাখার জন্য তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপি গ্যাস) দাম জ্বালানি বিভাগ এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখা হয়েছে। উন্মুক্ত বাজারের কারণে এতে গ্রাহকরা বেশি সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু সরকারি নিয়ন্ত্রণের এলে বর্তমানে এলপি গ্যাসের যে দাম তা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ কথা বলেন। এ সময় এলপিজি দুর্ঘটনা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. সামসুল আলম।

সচিব বলেন, গ্যাস দুর্ঘটনা হলেই আমরা এলপি গ্যাস বোতল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রচার করি। কিন্তু এলপি গ্যাস বোতল কখনো বিস্ফোরিত হয় না। বরং গ্যাসের লিকেজে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মূলত অসচেতনতা, অজ্ঞতা আর অসাবধানতার কারণে এলপি গ্যাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ অবস্থায় সিলিন্ডার ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, সিএনজি সিলিন্ডারের গ্যাসের চাপ অত্যন্ত বেশি থাকে। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গাড়িতে সিএনজির চেয়ে এলপিজি বেশি নিরাপদ। ফলে সিএনজির ব্যবহার নিরুত্সাহিত করা হচ্ছে।

নিরাপদে এলপি গ্যাস ব্যবহারের বিষয়ে উপস্থাপনায় বলা হয়, আগুনে বা অন্য কোনোভাবে সিলিন্ডার গরম হলে তরল এলপিজি দ্রুত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে অস্বাভাবিক চাপ বেড়ে যাবে। ফলে বিস্ফোরিত হতে পারে। এ জন্য সিলিন্ডার কোনোভাবেই চুলার বা আগুনের পাশে রাখা যাবে না। পাশাপাশি অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য এলপিজি সিলিন্ডারে তাপ দেওয়া যাবে না। রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। গ্যাসের গন্ধ পেলে ম্যাচের কাঠি জ্বালানো যাবে না। ইলেকট্রিক সুইচ এবং মোবাইল ফোন অন বা অফ করা যাবে না। ঘরে গ্যাসের গন্ধ পেলে দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে এবং এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করতে হবে। রান্না শুরু করার আধাঘণ্টা আগে রান্না ঘরের দরজা জানালা খুলে দিতে হবে।