শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিশ্বকাপের পরই কোচ খুঁজবে ভারত

আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৯, ২১:৩৪

স্পোর্টস রিপোর্টার

বিশ্বকাপ যত সন্নিকটে চলে আসছে, ততই যেন একটা প্রশ্ন উদয় হচ্ছে! ভারতের কোচ রবিশাস্ত্রী ও কোচিং স্টাফ দলের বাকি সদস্যদের মেয়াদ কি বাড়বে? নাকি বিশ্বকাপ শেষেই নতুন কোচ খোঁজার মিশনে নামবে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)?

রবিশাস্ত্রী ও তার সহকারীরা গেল ২০১৭ সালের জুলাইয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর দায়িত্ব পান। তাদের মেয়াদ আসছে মে-জুন-জুলাইয়ের বিশ্বকাপ দিয়েই শেষ হয়ে যাবে। ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানতে পেরেছে যে, বিশ্বকাপের পর আবারো ঘটা করেই কোচ খোঁজার মিশনে নামবে বিসিসিআই।

বিশ্বকাপ চলাকালেই হয়তো বিজ্ঞাপন দিয়ে দেবে সংস্থাটি। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যেই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া জীবন বৃত্তান্ত যাচাই বাছাই করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ডাকা হবে ইন্টারভিউয়ের জন্য। শাস্ত্রীদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে আগামী ১৪ জুলাই। এরপরই জুলাইয়ের শেষের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বিরাট কোহলির দল।

ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ের মধ্যে পছন্দনীয় কাউকে না পাওয়া গেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দিয়ে কাউকে পাঠানো হতে পারে। এমনও গুঞ্জন আছে যে ওই সিরিজটা চালিয়ে নেওয়ার জন্য কোচ শাস্ত্রী, সহকারী কোচ সঞ্জয় ব্যাঙ্গার, বোলিং কোচ ভারত অরুণ ও ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের মেয়াদ অল্প কিছুদিনের জন্য বাড়ানো হতে পারে।

বরাবরের মত এবারো কোচ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা তিন তারকা। কোচ নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের সেই ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটিতে (সিএসি) আছেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষণ। তারাই জীবন বৃত্তান্ত যাচাই বাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করবেন ও তাদের সাক্ষাত্কার নিয়ে চূড়ান্তভাবে কাউকে নির্বাচন করবেন। এখানে শাস্ত্রীরও পুনরায় কোচ হওয়ার সুযোগ আছে। বলা ভালো, তিনি এখানে বাড়তি সুবিধাই পাবেন। তাকে সরাসরি সংক্ষিপ্ত তালিকায় রেখে সাক্ষাত্কারের সুযোগ দেওয়া হবে। এর অর্থ হলো ২০১৭ সালে কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলের একবছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিসিসিআই যে পথে হেঁটেছিল এবারো সেই পুরনো পন্থাই অবলম্বন করা হবে। সেবারও সরাসরি সাক্ষাত্কার দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সাবেক কিংবদন্তি লেগ স্পিনার ও সাবেক অধিনায়ক অনিল কুম্বলে।

অনিল কুম্বলে অবশ্য সেই সুযোগ নেননি। বরং তিনি পুনরায় আবেদন করেছিলেন। সিএসসি সেবার দাবি করেছিল, যেহেতু বিতর্কিত কায়দায় তিনি অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পদত্যাগ করেছিলেন, সেহেতু তাকে আর পুনরায় কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। এরপরই দৃশ্যপটে চলে আসেন শাস্ত্রী। সম্ভাব্য কোচদের মধ্যে পাঁচজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগও। তবে, সব দিক বিবেচনা করে শাস্ত্রীই জয়যুক্ত হন। তার অধীনে ভারত টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক এক টেস্ট সিরিজ জয় নিয়ে ফেরে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয়টাকে শাস্ত্রী ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। অধিনায়ক কোহলিও মন্তব্য করেন যে, তার বড় ব্যাটসম্যান ও কার্যকর একজন অধিনায়ক হয়ে ওঠার পেছনে শাস্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এসব দিক মাথায় রেখে শচীন, সৌরভ ও লক্ষণ যদি এবারো শাস্ত্রীকেই বেছে নেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।