স্পোর্টস রিপোর্টার
৩২৩ রানের লক্ষ্যটা তাড়া করে জেতা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। তবে ব্যাপার হল অ্যাডিলেডে চতুর্থ দিনেই মাত্র ১০৪ রান তুলে চারটা উইকেট হারিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ছয় উইকেট হাতে নিয়ে জয় থেকে এখনো ২১৯ রান দূরে তারা। ফলে, বলাই যায় যে জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বিরাট কোহলির ভারত।
অ্যাডিলেডে তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ১৬৬ রানে এগিয়ে ছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ১৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ৩ উইকেটে ১৩৫ রান করেছিলো টিম ইন্ডিয়া। চেতেশ্বর পুজারা ৪০ ও রাহানে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান পুজারা চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। তবে প্রথম সেশনেই বিদায় নিতে হয় তাকে। ৯টি চারে ২০৪ বলে ৭১ রান করে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিঁও’র শিকার হন তিনি। রাহানের সাথে চতুর্থ উইকেটে ১৮৫ বল মোকাবেলা করে ৮৭ রান যোগ করেন পুজারা।
পুজারা ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান করা রোহিত এবার করেন ১। রোহিত ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন উইকেটরক্ষক ঋশব পান্ত। মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন তিনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের লাইন লেন্থহীন করে দেন পান্ত। কিন্তু নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি পান্থ। ১৬ বলে ২৮ রান করে থামেন পান্ত।
২৮২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন পান্ত। এরপর বাকী ৪ উইকেটে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেনি ভারত। ৩০৭ রানেই গুটিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। পুজারার পর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রাহানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে তিন শতাধিক রান পূর্ণ করতে পারে ভারত। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে ৭০ রানে থামেন রাহানে। তার ১৪৭ বলের ইনিংসে ৭টি চার ছিল। অস্ট্রেলিয়ার লিঁও ১২২ রানে ৬ উইকেট নেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৩তম ও ভারতের বিপক্ষে ষষ্ঠবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নেন লিঁও।
জয়ের জন্য ৩২৩ রানের টার্গেটে দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চকে ১১ রানে থামিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন।
আরেক ওপেনার মার্কাস হ্যারিসকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি ভারতের পেসার মোহাম্মদ সামি। ২৬ রান করে বিদায় নেন হ্যারিস। তৃতীয় উইকেট পেতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। ৮ রান করা উসমান খাজাকে আউট অশ্বিনের হাত ধরে তৃতীয় উইকেট শিকারের আনন্দ করে ভারত।
দলীয় ৬০ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। সেই চাপ দিনের শেষভাগে আরো বেড়েছে। মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডকম্ব ১৪ রান করে সামির দ্বিতীয় শিকার হওয়াতে।
তবে দিনের শেষ ৭৩ বলে আর কোনো উইকেট পড়তে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটসম্যান শন মার্শ ও ট্রাভিস হেড। মার্শ ৩১ ও হেড ১১ রানে অপরাজিত আছেন। ভারতের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন অশ্বিন ও সামি।