মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জুন ২০১৬ এবং তত্পরবর্তী সময়ে ২৮৬টি কলেজ জাতীয়করণের জন্য সদয় সম্মতি প্রদান করে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কলেজসমূহের পরিদর্শন সম্পন্ন হওয়ার বয়সও বছর ছুঁই ছুঁই করছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি বাস্তবায়নে বোধকরি নড়েচড়ে বসছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৩ কিস্তিতে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথাও শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কিস্তির ভিত্তিও অজানা। কিস্তি কি কলেজসমূহের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে হবে নাকি মহল বিশেষের চাপের মুখে মনগড়া হবে তাও রহস্যাবৃত। দফায় দফায় জাতীয়করণ করা হলে তা হবে আত্মঘাতী। কেননা জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত কলেজসমূহের ওপর নিয়োগ নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থ ব্যয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। শূন্যপদ পূরণের সুযোগ নেই। এ কারণে শিক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম ভেঙে পড়ার উপক্রম হচ্ছে। আবার না সরকারি না বেসরকারি অবস্থানে থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের মনোবলও ভেঙে পড়ছে। জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দিন যত গড়াবে জটিলতা তত বাড়বে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সহানুভূতি কামনা করছি এবং অবস্থা বিচারে কথিত কিস্তি প্রথা বাতিলের জন্যও বিনীত অনুরোধ করছি।
মাহবুবুল হক ইকবাল
দক্ষিণ আলেকান্দা, বরিশাল