শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মোদী জমানার পাঁচ বছরে বড় ১০ হামলা

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:০৩

২০১৪ থেকে ২০১৯ মোদী জমানার  এ পাঁচ বছরে ভারতে তীব্র হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযান। কিন্তু তার সঙ্গেই তীব্রতর হয়েছে জঙ্গি নাশকতাও। জঙ্গি হামলায় বারে বারে রক্তাক্ত হয়েছে পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন অংশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব হামলার টার্গেট নিরাপত্তা বাহিনী। প্রাণ গিয়েছে নিরীহ মানুষেরও। এ ধরনের ১০টি বড় হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯৪ জন পুলিশ কর্মী ও জওয়ান। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

২০ মার্চ, ২০১৫ : জম্মুর কাঠুয়া জেলার রাজবাগ থানায় আত্মঘাতী হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। ৩ নিরাপত্তা কর্মীসহ ৬ জন নিহত হন, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১ জঙ্গির মৃত্যু হয়।

২৭ জুলাই, ২০১৫ : ভোরবেলা পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার দীনানগরে বড়সড় নাশকতা চালায় জঙ্গিরা। প্রথম টার্গেট করা হয় একটি যাত্রীবোঝাই বাস, তারপর গুরদাসপুর থানায় চলে গুলিবৃষ্টি। গোটা ঘটনায় ৪ পুলিশ কর্মী প্রাণ হারান, মৃত্যু হয় ৩ নাগরিকের। ৩ জঙ্গিও নিহত হয়। পরে অমৃতসর পঠানকোটের রেলব্রিজ থেকে ৫টি বোমাও উদ্ধার হয়।

২ জানুয়ারি, ২০১৬ : পঠানকোট খাস পশ্চিম এয়ারকম্যান্ডের সদর দপ্তরে ফিদায়েঁ হামলা। সেনাবাহিনীর পোশাকে নাশকতা আত্মঘাতী জঙ্গিদের। নিহত হন ৭ নিরাপত্তা কর্মী, খতম ৪ জঙ্গি।

২৪ জুন, ২০১৬ : ঘটনাস্থল জম্মুর পাম্পোর। শ্রীনগর জম্মু জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা। নিহত হন ৮ জওয়ান। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা আঘাতে ২ জঙ্গি মারা যায়।

এরইমধ্যে ৬ জুলাই সেনা বাহিনীর জঙ্গি দমন অভিযানে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যু হয়। উপত্যকায় অশান্তির আগুনে ঘি পড়ে। বুরহানের মৃত্যুর বদলা নেওয়ার ডাক দেয় জঙ্গি সংগঠনগুলো। ঠিক তার দু’মাসের মধ্যেই উরিতে সেনা হেডকোয়ার্টারে আঘাত হানে জইশ-ই-মহম্মদ। 

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ :  ভোরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ১৯ সেনার মৃত্যু। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়।

৩ অক্টোবর, ২০১৬ : ফের টার্গেট সেনাঘাঁটি। এবার হামলা হয় বারামুলায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ছাউনিতে। প্রাণ হারান ৩ জওয়ান। ২ হামলাকারীরও মৃত্যু হয়। এর ঠিক ৩ দিনের মধ্যে ফের সেনা ক্যাম্পে জঙ্গি হানা দেয়।

৬ অক্টোবর, ২০১৬ : কুপওয়ারা জেলার হান্দওয়ারায় সেনা ক্যাম্পে হামলা চলে। সেনার গুলিতে নিহত ৩ জঙ্গির থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়।

২৯ নভেম্বর, ২০১৬ :  জম্মুর নাগরোটায় পুলিশের পোশাকে ৩ জঙ্গি সেনাবাহিনীর ১৬৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট ইউনিটের উপর হামলা চালায়। ১০ সেনার মৃত্যু হয়। হামলার দায় নেয় জইশ-ই-মহম্মদ।

১১ জুলাই, ২০১৭ : এবারও লস্কর জঙ্গিদের টার্গেট ছিল সিআরপিএফ এবং পুলিশ। তবে অনন্তনাগে সেই হামলার বলি হন সাধারণ মানুষ। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় অমরনাথের যাত্রীবোঝাই বাস। প্রাণ যায় ৮ জনের।

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ : শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ-এর কনভয়ে জঙ্গি হানা। জইশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৪০ জওয়ান।