বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে আটকা সহস্রাধিক যানবাহন

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৪৬

দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে এক সপ্তাহ ধরে ফেরি সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। সঙ্গে নাব্যতা ও ঘাট সংকট থাকায় যানবাহন পারাপার চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর নাগাদ উভয় ঘাট মিলে সহস্রাধিক বিভিন্ন যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে। ক্রমেই বাড়ছিল এ সংখ্যা।

আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্টরা প্রচণ্ড দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সংকট কাটাতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তবে ফেরি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রুটের ৮টি রোরো ফেরির মধ্যে ৪টি বিকল থাকায় যানবাহন পারাপারে এ দুর্গতি দেখা দিয়েছে।

দৌলতদিয়া ট্রাক টার্মিনালে আটকে থাকা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালক সেলিম মিয়া, কাদের অভিযোগ করেন, তারা গত সোমবার রাতে ঘাটে এসে শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও ফেরির নাগাল পাননি। অথচ পরে এসে অনেক চালক দালালদের মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে আগে ফেরি পার হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার বেলা ৩টা নাগাদ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে দুই সারি  যানবাহন অন্তত ৪ কিমি মহাসড়ক জুড়ে আটকে আছে। প্রায়ই দ্বিমুখি যানবাহনের চাপে চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটেও এভাবে অন্তত ৫ কিমি জুড়ে কয়েকশ যানবাহন আটকে আছে। উভয় পাড় মিলে সহস্রাধিক যানবাহন আটকে আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৪টি রোরো, ২টি কে-টাইপ ও ৭টি ইউটিলিটি ফেরি চলছিল। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম। স্বাভাবিক যানবাহন পারাপারের জন্য এখানে সার্বক্ষণিক অন্তত ৮টি রোরো (বড়) ফেরি চলাচল করা দরকার। কিন্তু গত এক সপ্তাহের মধ্যে বীরশ্রেষ্ট রুহল আমীন ও আমানত শাহ এবং ১ মাস আগে কেরামত আলী নামের আরেকটি রোরো ফেরিকে সংস্কারের জন্য নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাত থেকে গোলাম মওলা নামের আরেকটি রোরো ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে সংস্কারে আছে।

এদিকে নাব্যতা সংকটের কারণে উভয় পাড়ের ঘাটগুলো খাড়া হয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সেগুলোকে হাই ওয়াটার লেভেল থেকে মিডল ও লো ওয়াটার লেভেলে নামানোর কাজ ধারাবাহিকভাবে করছে। তবে ওই কাজগুলো অনেকটাই অপরিকল্পিতভাবে করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘাটে কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেন পরে আসা পণ্যবাহী যানবাহন চালকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে আগে ফেরি পার করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, নৌরুটে ফেরির সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং ঘাট ও নাব্যতা সংকট থাকায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত ৩টি রোরো ফেরি বহরে আসার কথা রয়েছে। ফেরি ৩টি এলে এ সংকট কেটে যাবে।

ইত্তেফাক/নূহু