সাভারে তিনটি শ্রমিক কলোনীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কলোনীর শ্রমিকদের বসবাসের ৭৩টি কক্ষ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানি হয়নি। তবে পুড়ে গেছে এসব কক্ষে থাকা আসবাবপত্রসহ মূল্যবান সামগ্রী।
রবিবার রাতে পৌর এলাকার দক্ষিণ দরিয়াপুর মহল্লার মোঃ আলী হাসান, আলমগীর হোসেন ও শামসুল হকের মালিকানাধীন শ্রমিক কলোনীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে।
খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া কক্ষের বাসিন্দারা জানায়, রাত আড়াইটার দিকে আলমগীর হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আইসক্রিম ব্যবসায়ী খোকনের কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় আগুন দ্রুত বাড়তে থাকে। এ পর্যায়ে তা পার্শ্ববর্তী শামসুল হক এবং আলী হাসানের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
শ্রমিক কলোনীর মালিক মোঃ আলী হাসান বলেন, আগুনে তার ২০টি টিনসেড ঘর এবং ঘরের ভিতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। এ সময় তার একটি গরুর খামার এবং আরও ১৫টি কক্ষের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আলী হাসান ও শামসুল হকের শ্রমিক কলোনীতেও তা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাড়াহুড়ো করে ভাড়াটিয়ারা কিছু দরকারি জিনিস বের করতে পারলেও অপর দুই কলোনীর আরো ৫৩টি কক্ষ এবং ভিতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পরই তারা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি পোশাক কারখানার পানির পাইপ দিয়ে তারা আগুন নেভানোর কাজ করে।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার লিটন আহম্মেদ জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি ইউনিটের দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশী হওয়ায় তিনটি শ্রমিক কলোনীর প্রায় ৭৩ টি সেমিপাকা টিনসেড ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাড়ির মালিকেরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ইত্তেফাক/নূহু