বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কক্সবাজারে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৫

কক্সবাজারের টেকনাফ ও কুতুবদিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফে দুজন মাদক কারবারী ও অন্যজন কুতুবদিয়ার জলদস্যু। মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ ও কুতুবদিয়া উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-৭ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কেরুনতলী এলাকায় র‌্যাবের নিয়মিত চেকপোস্ট বসে। মঙ্গলবার সকালে চেকপোস্ট এলাকায় একটি ট্রাককে থামানোর চেষ্টা করলে ট্রাক না থামিয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্যে করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থেমে গেলে ট্রাকে থাকা দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় র‌্যাব। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতরা হলো, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার এলাকার মোঃ আবদুল হামিদের পুত্র আশিক জাহাঙ্গীর কুদরত (৩২) ও নারায়ণগঞ্জ তোলাবুরো মসজিদ এলাকার আবদুল বারেকের পুত্র আরিফ হোসেন (৩০)। এ সময় ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে এক লাখ পিস ইয়াবা, দুটি অস্ত্র ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দস্যু বাহিনীর প্রধান দিদারুল ইসলাম ওরফে দিদার (৩২) নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মধ্য আমজাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, দিদারুল ইসলাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত চিহ্নিত জলদস্যু। সে একটি বাহিনী গঠন করে কুতুবদিয়া দ্বীপ ও সাগরে দস্যুতা করে বেড়াত। তার নামে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে।

মেজর মেহেদী বলেন, সাগরে ডাকতির প্রস্তুতি নিতে কিছু দস্যু জড়ো হয়েছে খবরে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। তারা টের পেয়ে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে।
‘র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এতে তারা এক পর্যায়ে পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, এসময় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় ৭টি দেশিয় তৈরি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি ও ৯ টি গুলির খালি খোসা।

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস জানান, নিহত দিদারের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, অস্ত্র, সন্ত্রাসী, ধর্ষণসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে ৬টি একনলা বন্দুক, ২০টি কার্তুজ, ৯টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। ডাকাত দিদারের মৃত্যু সংবাদ শুনে দ্বীপে স্বস্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইত্তেফাক/নূহু